চিঠি গেল পরিবহন দফতরে

কলকাতা ব্যুরো: সাপ্তাহিক লকডাউনের প্রথমদিনে বাস নামানো নিয়ে চাপানোতর। চলল দুই দফতরের। জবাব চাওয়া এবং জবাবদিহির পালা। যা ঘিরে শুক্রবার রীতিমতো সরগরম ছিল পরিবহন দফতর। কেন বৃহস্পতিবার লকডাউন ভেঙে রাস্তায় সরকারি বাস নামানো হয়েছিল তা জানতে চেয়ে পরিবহন দফতরকে চিঠি দেওয়া হল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তরফে। চিঠি পেয়ে রীতিমতো হতবাক হয়ে যান পরিবহন দফতরের কর্তারা। কারণ, লকডাউন থাকলেও ওইদিন কলকাতা বিমানবন্দরে নামা বিমানযাত্রী এবং হাওড়া স্টেশনে নামা যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছতেই গোটা ত্রিশেক এসি,নন এসি বাস নামানো হয়। আর এই বাস নামানোর বিষয়টি পরিবহন দফতরের তরফে অর্ডার করে নিগমকে জানিয়ে দেওয়া হয়। সেই মতোই বাস নামায় নিগম। তা না হলে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে আরো সমস্যা তৈরি করতে পারতো বলে মনে করছে পরিবহন দপ্তর। বরং বাস নামিয়ে কিছুটা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছে বলে মনে করছেন দপ্তরের কর্তারা। কিন্তু তাতেই ঘটে বিপত্তি।

সম্পূর্ণ লকডাউনের দিন বাস নামানোর কারণ জানতে চেয়ে চিঠি যায় লালবাজারের তরফে। সেই মতো উত্তরও দেওয়া হয়েছে পরিবহন দফতরের পক্ষ থেকে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বিমানে এবং ট্রেনে বাইরে থেকে আসা যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছতেই এই বাস চালানো হয়েছিল। অন্য কোনো যাত্রী তাতে চড়েননি। তবে উত্তর যাই হোক, দু-তরফের পত্র যুদ্ধে বিষয়টি অন্য মাত্রা পায়। পরিবহন দফতরের এক কর্তা জানান, সামান্য একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমদের সাথে কথা হয়ে গিয়েছে। আমরা পুলিশের থেকে আসা চিঠির উত্তরও দিয়েছি। আর কোনো সমস্যা নেই।


সাপ্তাহিক লকডাউনের প্রথম দিনে সমস্ত রকম যানবাহনই প্রায় বন্ধ রাখা হয়েছিল। যেহেতু ওইদিন কলকাতা এয়ারপোর্টে প্রায় ৪০ টি বিমান ওঠানামা করেছে তাই সেই যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে পরিবহন দপ্তর বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছিল। একই সঙ্গে হাওড়া স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন থেকে নামা যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছতে বিশেষ বাস ছিল। ছিল হাতেগোনা কিছু ট্যাক্সি, ক্যাবও। তা সত্ত্বেও লকডাউনের দিন শহরে ফেরা যাত্রীদের বাড়ি ফিরতে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে। আজ দ্বিতীয় ধাপের লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে অবশ্য বিমান ওঠা নামা করবে না। তাই এয়ারপোর্টে বাসের প্রয়োজন নেই। কিন্তু হাওড়ায় ট্রেন এলে জরুরি ভিত্তিতে বাস চালানো হতে পারে। অন্তত তাই ঠিক আছে বলে খবর। “সেক্ষেত্রে আবার পুলিশের চিঠির জবাব দিতে হবে কিনা, সেই চিন্তাই হচ্ছে।”, জানান পরিবহন দফতরের এক আধিকারিক।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version