কলকাতা ব্যুরো: করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রাজ্যে সপ্তম দফার ভোটে কলকাতার ভোটারদের কাবু করে দিল। এদিন কলকাতায় যে চারটি কেন্দ্রে ভোট ছিল, সেখানে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত যে পরিমাণ ভোট পড়েছে, তাতে সন্ধিহান রাজনৈতিক দলগুলি। মূলত বহুতল আবাসনের ভোটাররা না ভোট দিতে আশাতেই, তুলনায় কম ভোট পড়েছে বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ধারণা। এর মধ্যে একমাত্র বন্দর বিধানসভায় ভোট পড়েছে ৬৪%। সেই আসনটি এমনিতেই তৃণমূলের ববি হাকিমের খাসতালুক। এর বাইরে রাসবিহারীতে ৬০%, ভবানীপুর ৫৫% ভোট পড়েছে। বালিগঞ্জ ৫৯% ভোট পড়েছে।
বন্দর ছাড়া অন্য তিনটি বিধানসভার বেশির ভাগটাই ফ্ল্যাট এবং বহুতল আবাসনে লক্ষ লক্ষ লোকের বাস। এদিন সকাল থেকেই বুধ গুলিতে ভোট হয়েছে ধীরগতিতে। সকালে জেলায় যখন প্রথম তিন ঘণ্টায় ১৮ শতাংশ ভোট পড়ে গেছে, তখন কলকাতায় ১২% ছাড়ায় নি।


বালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট সার্কুলার রোড, কালীঘাট, হাজরা, ভবানীপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় এদিন দুপুরের পরেও বুথ গুলিতে তেমনভাবে ভিড় ভোটারের নজরে পড়েনি। রাজনৈতিক দলগুলো দুপুরের রোদে ভোটাররা আসবে না ধরে নিয়ে সকলেই নিজেদের কমিটেড ভোটারদের ডাকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে এদিন করোনা আতঙ্ক একটা ফ্যাক্টর হয়ে গেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক নেতারা।
কলকাতার এই চারটি বিধানসভা তৃণমূলের দখলে থাকলেও মূলত আবাসন গুলিতে থাকা অবাঙালি ভোটারদের একটা বড় অংশ গত লোকসভা ভোটে বিজেপির দিকে ঝুঁকেছে। ফলে ওই ভোটারদের ভোট যদি না পড়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে কলকাতায় এই চার কেন্দ্রে বিজেপি, তৃণমূলের সঙ্গে কতটা টক্কর নিতে পারবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের এক নেতা বলেন, কলকাতায় এমনিতেই ভোট দেওয়ার প্রবণতা অনেক কম। কিন্তু এবার আবাসন গুলি থেকে মানুষ বের হচ্ছেন না। সেটা একটা ফ্যাক্টর। যদিও সেই ভোট কাদের দিকে যেত, তা নিয়ে অবশ্য কোন মন্তব্য করছেন না তৃণমূল নেতারা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version