কলকাতা ব্যুরো: গরু পাচার মামলায় নাম জড়িয়ে ইতিমধ্যে সিবিআই হেফাজতে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। বুধবার দুপুরে মেয়ের চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগের ধাক্কা তখনও হয়তো ঠিক মতো সামলে উঠতে পারেন নি বীরভূমের কেষ্ট। তারমধ্যেই আবারও বড় ধাক্কা দিল সিবিআই। বুধবার দুপুরেই নীচুপট্টির বাড়িতে মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হানা দিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকরা। মানসিক অবস্থা খারাপের কারণ দেখিয়ে সিবিআই আধিকারিকদের তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে অনুব্রত কন্যার বিরুদ্ধে। এরপর বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হতেই বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আনল সিবিআই।

এদিন অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের প্রায় ১৭ কোটি টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজিটের খোঁজ পেলো সিবিআই। বিশাল অঙ্কের এই ফিক্সড ডিপোজিট ইতিমধ্যে ফ্রিজ করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে অর্থাৎ, যাদের নামে এই ফিক্সড ডিপোজিটগুলি রয়েছে, তাঁরা এই টাকা আর তুলতে পারবেন না।

সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে এই ফিক্সড ডিপোজিট ফ্রিজ করা হয়েছে। তবে ওই ফিক্সড ডিপোজিট কাদের নামে রয়েছে, তা এখনও স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি সিবিআই-এর তরফে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের পরিবার ও আত্মীয়রা রয়েছেন সেই তালিকায়।

সিবিআই সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল ছাড়া কেষ্ট ঘনিষ্ঠ বাকি যাদের আকাউন্টে টাকা রয়েছে, তাঁদের আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ডেকে প্রশ্ন করা হতে পারে। অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে সম্প্রতি তাঁকে গ্রেফতার করেছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। যাঁদের নাম রয়েছে এই ফিক্সড ডিপোজিটগুলিতে তাঁদের কাছে এই বিশাল অঙ্কের টাকা কীভাবে এল, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইতে পারেন সিবিআই গোয়েন্দারা।

এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিশাল অঙ্কের সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তারপর বুধবার সন্ধ্যায় সামনে এলো এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version