কলকাতা ব্যুরো: ৩ বছর কোনও অডিট নেই। নতুন কমিটি গঠনের ভোটাভুটির দিনই ছিঁড়ে ফেলা হলো ব্যালট পেপার। অশান্তি মেটাতে থানা পুলিশও হয়। হাজারও অশান্তির পর অবশেষে স্বস্তি। নতুন কমিটি তৈরি করে যে আর পুজো করার মতো সময় নেই, তা বুঝতে পেরেছেন সকলেই। তাই পুরনো কমিটি বহাল রেখে পুজোর সিদ্ধান্ত বাগবাজার সার্বজনীনের।

বৃহস্পতিবার ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মিছিল শেষ হওয়ার পর বৈঠকে বসতে চলছেন পুজো কমিটির সদস্যরা। গতবারের কমিটিকে পুজো করার দায়িত্ব দেওয়া হবে। খুঁটিপুজোর দিনক্ষণও স্থির হবে ওই বৈঠকে।

শতবর্ষ প্রাচীন বাগবাজার সার্বজনীনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস। ১৯৩২ সালে সোসাইটি অ্যাক্টে নথিভুক্ত করা হয়েছিল বাগবাজারের পুজো। ১৯৯৬, ২০০৪, ২০০৬, ২০১০ সালে নির্বাচন হয়। ১২ বছর পর গত রবিবার বাগবাজারের কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচন হয়। সেই ভোটাভুটিকে কেন্দ্র করেই তুমুল অশান্তি তৈরি হয়। ছেঁড়া হয় ব্যালট পেপার।

এই ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন বাগবাজার সার্বজনীনের প্রাক্তন সম্পাদক গৌতম নিয়োগী। অশান্তির জেরে পুজোর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। তবে গণেশ পুজোর দিনই কেটেছে জট। সামনেই দুর্গাপুজো। তাই এই মুহূর্তে নতুন কমিটি গঠন করে পুজো করা কার্যত অসম্ভব। যাতে সেই সমস্যা না হয় তাই পুরনো কমিটির উপরেই ভরসা রাখছেন উদ্যোক্তারা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version