কলকাতা ব্যুরো : পুরোটাই ফিল্মি। বলিউডি কায়দায় খুন। খদ্দের সেজে ট্যাক্সি তে ওঠো । ড্রাইভার কে খুন করো। লাস ফেলে দাও কুমিরের মুখে। কোনো সিনেমার গল্প নয়। একবারে বাস্তব। আয়ুর্বদিক ডাক্তার দেবেন্দ্র শর্মা র লাইফ স্টোরি।


নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন পুলিশ এর কাছে। ৫০ টা খুন হয় এ গেছে। তারপর আর নাকি গনেননি। তবে নিজে হতে নয়। কিন্তু তিনি পান্ডা। উত্তরপ্রদেশ এর কাশগঞ্জ এর ঘটনা। ডাক্তার এর দলবল ট্যাক্সি তে উঠত। ড্রাইভার খুন করতো। কুমির ভর্তি হাজরা খালে মৃতদেহ ফেলে ট্যাক্সি নিয়ে ধা। তারপর ট্যাক্সি গুলোকে বেচা হতো। এক একটা ২০ থেকে ২২ হাজার টাকায়। এল পি জি সিলিন্ডার বোঝাই ট্রাক ও লুঠ হত সিলিন্ডার সমেত। তারপর সিলিন্ডার নামানো হত ডাক্তারের ভুয়ো গ্যাস এজেন্সি তে । আর ট্রাক গুলো নিয়ে যাওয়া হত মেরঠ এ । ভেঙ্গে ফেলে পার্টস বিক্রি করে দেও়ায় হত। ডাক্তার আর তার বাহিনীর কীর্তিকলাপ দিয়েছেন দিল্লী পুলিশ এর ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর অফিসার রাকেশ পাওড়িয়া। ঠাণ্ডা মাথায় নিজের ঝুলি থেকে একটার পর একটা বেড়াল বের করেছেন ডাক্তারবাবু। চোখে তার চশমা। নিরীহ চেহারা। নির্লিপ্ত। মাঝারি উচ্চতা। বোয়েস ৬২ । আর তখনই বলে ফেলেন , ” কত যে খুন করেছি ৫০ টা হবার পর গোনাই ছেড়ে দিয়েছি।


দেবেন্দ্র সত্যিই ডাক্তার। আয়ুর্বেদ আর সার্জারির ডিগ্রি রয়েছে তার । চেম্বার ছিল। রুগী দেখতেন সেখানে। দেখে বোঝার উপায় নেই। দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ইত্যাদি রাজ্যে তার নামে কতগুলো মামলা আছে পুলিশ ও তা জানে না।খুন, অপহরণ , কিডনী পাচার সব গুন ই আছে দেবেন্দ্রর। তেমন এক খুনের মামলায় ১৬ বছর ধরে সে যাবজ্জীবন জেল ও খাটছিল। গত জানুযারিতে ২০ দিনের জন্য বেরিয়ে বেপাত্তা হয় সে। সেই থেকে টানা তল্লাশি চালিয়ে গত মঙ্গলবার পুলিশ হদিস পায় তার।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version