কলকাতা ব্যুরো: আলিপুর চিড়িয়াখানায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দু’জনের মৃত্যুতে বড়সড় প্রশ্ন ওঠে গেল গাফিলতির। একটি বিজ্ঞাপন সংস্থার বেশ কয়েকজন কর্মী চিড়িয়াখানার ভিতরে হোডিং লাগানোর কাজ করছিলেন। একটি গর্ত খোঁড়ার সময় কোনোভাবে বিদ্যুৎবাহী তারের স্পর্শে আসেন তাঁদের একজন। তড়িঘড়ি তাঁকে বাঁচাতে ছুটে যান আরেক জন। তিনিও তড়িতাহত হন। আবার তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে একইভাবে বিদ্যুতের ছোঁয়ায় জখম হন আরেকজন। তাঁকে জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও। অন্য দুজন মারা যান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিজেপি নেতা ও চিড়িয়াখানা কর্মচারী সংগঠনের নেতা রাকেশ সিং বলেন, সকাল থেকে বিজ্ঞাপন সংস্থার জনা কুড়ি লোক কাজ করছিলেন। হাতির এনক্লোজারের সামনে একটি গর্ত খুঁড়ছিলেন একজন। তখনই বিদ্যুতের সংস্পর্শে আসেন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে অন্যরাও একই অবস্থার মুখে পড়েন। রাকেশ সিংয়ের অভিযোগ, লকডাউনের মধ্যে কীভাবে বিজ্ঞাপন সংস্থার কর্মীদের কাজ করার অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ তা স্পষ্ট নয়। তাছাড়া বৃষ্টির মধ্যে কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে এমন কাজে গাফিলতি স্পষ্ট। এর দায় কে নেবে?
যদিও চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, গত কয়েকদিন ধরেই এই কাজ চলছিল চিড়িয়াখানার ভিতরে। সেই কাজ বাকি থাকাতেই এ দিনও কাজ চলছিল। কিন্তু লকডাউনে বিজ্ঞাপন হোডিং লাগানোর কাজ জরুরি পরিসেবার মধ্যে পড়ে কি না তা অবশ্য স্পষ্ট করেনি কর্তৃপক্ষ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version