Close Menu
Kolkata361°
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Follow Us
  • Facebook
  • Twitter
  • YouTube 733
  • WhatsApp
Facebook X (Twitter) Instagram
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp
Kolkata361°
Subscribe Login
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Kolkata361°
You are at:Home»এক নজরে»মিনি সুইজারল্যান্ডের মাটিতে এত রক্ত কেন 
এক নজরে

মিনি সুইজারল্যান্ডের মাটিতে এত রক্ত কেন 

adminBy adminApril 25, 2025Updated:April 26, 2025No Comments4 Mins Read
Facebook Twitter WhatsApp Email
Share
Facebook Twitter Email WhatsApp

কাশ্মীর উপত্যকার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র বৈসরন ভ্যালি ভ্রমণপিপাষুদের কাছে ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ নামে পরিচিত। জায়গাটি দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার পাহাড়ি শহর পহেলগাঁও থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে। উপত্যকাটি তুষারাবৃত পাহাড়, ঘন দেওদার বন এবং বিস্তৃত সবুজ তৃণভূমি ঘেরা। প্রতি বছর পর্যটকদের ভীড় যেমন হয়, তেমনি অনেক বলিউড ছবিতে বৈসরনকে পটভূমি হিসেবেও দেখা যায়। সেই নয়নাভিরাম পাহাড়ি পর্যটনকেন্দ্রে সন্দেহভাজনরা অন্তত ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করে রক্তে ভাসিয়ে দিল পেহেলগাম বা মেষপালকদের উপত্যকার মাটি।  

প্রসঙ্গত, বহু বছর ধরে কাশ্মীর উপত্যকার মাটিতে রক্তক্ষরণ লেগেই আছে কিন্তু পর্যটকদের উপর হামলা তুলনায় কম হয়েছে। ১৯৯৫ সালে পেহেলগামে আল-ফারান নামের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ছ’জন বিদেশি পর্যটককে অপহরণ করে একজনকে খুন করেছিল, একজন পালিয়ে যায়, বাকি চারজনের আর কোনো খোঁজ মেলেনি। ২০০০ সালে পেহেলগামের নুনওয়ান এলাকায় এক হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল ৩২ জন। তাঁদের মধ্যে ২১ জন ছিলেন হিন্দু তীর্থযাত্রী। ২০০১ সালে একই এলাকায় শেশনাগ হ্রদের কাছে আরেক হামলায় নিহত হয় ১৩ জন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন ছিলেন তীর্থযাত্রী, বাকি দুজন স্থানীয় বাসিন্দা। ২০১৭ সালে অনন্তনাগ জেলায় গোলাগুলিতে হত হয় ৮ জন হিন্দু তীর্থযাত্রী। এরপর ২০২৪-এর জুন মাসে জম্মুর দক্ষিণাংশের কাঠুয়ায় এক তীর্থযাত্রীবাহী বাসে হামলার কারণে বাসটি খাদে পড়ে গেলে ৮ জন তীর্থযাত্রী নিহত হন।

২৬ জন পর্যটককে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছেন কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনীতিক নেতারা। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হল কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ। কারণ কাশ্মীরের অর্থনীতিতে পর্যটনের ভূমিকা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনায় ফের বিরাট ধাক্কা খেল সেই পর্যটন। অর্থাৎ যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা যেই হোক, তারা কাশ্মীরিদের অর্থনীতি কিংবা সেখানকার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনকে ধ্বংস করতে চায়। আর গত কয়েক মাস ধরে সরকার যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসার প্রচার চালাচ্ছে, তা যে কত বড় ভুয়ো তা ফের একবার প্রমাণিত হল। পর্যটকের ভিড়কে শাসকদল রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে ব্যবহার করে বলে এসেছে, কাশ্মীরে শান্তি ফিরে এসেছে। বস্তুত পেহেলগামে হামলার আগেও কি কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল? ২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হওয়ার পর থেকে সেখানকার রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ মানুষের উপর কঠোর দমন-পীড়ন চলেছে। হাজার হাজার মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে এমন সব আইনে, যেগুলির আওতায় কাউকে বিচারের আগেই দীর্ঘদিন আটক রাখা যায়। ২০২৪-এর অক্টোবরে প্রায় এক দশক পর কাশ্মীরে স্থানীয়ভাবে নির্বাচনে স্বায়ত্তশাসন ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিতে জনপ্রিয় প্রাদেশিক রাজনীতিক ওমর আবদুল্লাহ বড় জয় পেলেও তিনি প্রকৃতপক্ষে খুব সীমিত ক্ষমতা পেয়েছেন। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার মনোনীত লেফটেন্যান্ট গভর্নর সেখানে বড় সিদ্ধান্তের ক্ষমতা নিজের হাতে রেখেছেন।

পেহেলগামে হামলার পর কাশ্মীরের হোটেল ব্যবসায়ী ও ট্যুর অপারেটররা পর্যটকদের পাশে যেমন দাঁড়িয়েছেন তারা হামলাকারীদের তীব্র নিন্দাও করছেন। ঘটনার পরের দিন তারা বিক্ষোভ ও স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালন করেন। হামলার ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত সাধারণ বাসিন্দারা। অন্যদিকে হামলার পর রামবান এলাকায় ভূমিধসের কারণে কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে জম্মুর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় পর্যটকেরা আটকে পড়লে বিমান সংস্থাগুলি ভাড়াও অনেক বাড়িয়ে দেয়। এই অবস্থায় কিন্তু আতঙ্কগ্রস্ত পর্যটকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় মানুষ পর্যটকদের তাদের বাড়িতে থাকার জায়গা এবং খাবার দিয়ে তাদের অতিথিপরায়ণতা এবং আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু পর্যটকদের নিরাপত্তা কিংবা বাড়ি ফেরার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কি পদক্ষেপ করেছে?এরপর আগামী দশ বছরে যে কোনো পর্যটক কাশ্মীরে বেড়াতে আসবেন না সেটা বাস্তব সত্য। এরপরও কি আমরা কাশ্মীরের এই রক্তাত্ত ঘটনাকে কেবলমাত্র সন্ত্রাসবাদী হামলা কিংবা জঙ্গি আক্রমণ অথবা মুসলমান আতঙ্কবাদীদের হিন্দু পর্যটকদের উপর নৃশংসতা ইত্যাদি উত্তপ্ত আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ রাখবো? দশকের পর দশক পেরিয়ে গেলেও কাশ্মীরে রক্তপাত বন্ধ হয়নি। প্রত্যেকবারই জঙ্গি হামলা অথবা সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমন বলে উপত্যকাকে সেনা ছাউনিতে পরিণত করা হয়েছে। হামলা বা সন্ত্রাস রুখতে সেনাবাহিনির সক্রিয়তায় নতুন করে রক্তাত্ত হয়েছে উপত্যকার সাধারণ নাগরিক জীবন।

লক্ষ্যনীয়, পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলায় এবার সন্ত্রাসবাদীরা শুধুমাত্র পুরুষদের হত্যা করেছে, কিন্তু কেন তারা মেয়ে ও শিশুদের ছেড়ে দিল। জঙ্গিদের আক্রমন থেকে কি কোনোদিন কেউ ছাড় পায়? না, তাহলে? খুন করার আগে জঙ্গিরা ধর্ম জানতে চেয়েছে, হিন্দু কিনা তা যাচাই করে নিয়েছে। আসলে কেবলমাত্র খুন বা সন্ত্রাস নয়, ধর্ম জেনে পুরুষদের বেছে বেছে কপালে গুলি করা আর তাদের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের ছেড়ে দেওয়া যাতে তারা ফিরে গিয়ে এই কথাগুলি জানাতে পারে যে ধর্ম জানতে চাওয়া হয়েছে। একে কি শুধুমাত্র সন্ত্রাস বা হত্যাকাণ্ড বলবো? এটি এমন একটি পরিকল্পিত হামলা যা কেবল সন্ত্রাস নয়, দেশ ও সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করবে। যে বিভাজনে কেবলমাত্র ধর্মের কারণেই মানুষে মানুষে সন্দেহ, ভয় ও ঘৃণার জন্ম দেবে। ঘৃণা থেকে বিভেদ সৃষ্টি হলে মানুষ হিন্দু-মুসলিম ধর্মের বিতর্কে ডুবে নিরাপত্তায় এত গলদ কেন, এই প্রশ্ন করতেই ভুলে যাবে? ভুলে যাবে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও সন্ত্রাসবাদীরা কীভাবে কোথা থেকে এল? কোথায় ইন্টেলিজেন্স ইনপুট? আসলে এই ঘটনা যে কেবল সন্ত্রাসবাদী হামলা নয়, এটি একটি গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। যে ষড়যন্ত্রে মানুষ হিন্দু বনাম মুসলিম বিতর্কে ডুবে যাবে। সেকারণেই ধর্ম জানতে চাওয়া আর সেই বার্তা পাঠাতে মেয়েদের ছেড়ে দেওয়া। ধর্মীয় বিদ্বেষ দিয়ে কেবল ভয় ছড়ানো নয়, বিভাজন বিদ্বেষ দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলা যায়। আর এই মুহুর্তে ঠিক সেটাই চলছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মীয় বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে, শাসকের বিরুদ্ধে নাগরিক নিরাপত্তার কোনো প্রশ্ন নেই, কে জঙ্গি, কেন জঙ্গি, কারা সন্ত্রাসবাদী কেন তারা আতঙ্কবাদী এমন কোনো প্রশ্ন নেই, তাই কেবল বিভেদ বিভাজন নিয়ে উত্তাপ ছড়ানো আর সেই উত্তাপে শাসকদল হাত সেঁকছে। আর আমরা মৃতদেহের উপর দাঁড়িয়ে নিজেদের ঐক্য, সমতাকে কেবল ভেঙেই চলেছি।

Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr WhatsApp Email
Previous Articleরবিবাসরীয় ব্রিগেড বন্যায় কি সিপিএমের ভোট ফিরবে  
Next Article স্টিফেন কোর্ট ও আমরির ভয়াবহ স্মৃতি ফেরানোর দায় কার
admin
  • Website

Related Posts

July 31, 2025

প্ল্যাস্টিক খেকো ছত্রাক কি সমুদ্র দূষণমুক্ত করতে সহায়ক হবে

3 Mins Read
July 29, 2025

বাঁহাতি শিল্পী এবং বিজ্ঞানী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি

5 Mins Read
July 27, 2025

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সংঘাতের সমাধান কোন পথে

4 Mins Read
July 25, 2025

পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানী মহাজ্ঞানী থ্যালিস

4 Mins Read
Add A Comment
Leave A Reply Cancel Reply

Archives

প্ল্যাস্টিক খেকো ছত্রাক কি সমুদ্র দূষণমুক্ত করতে সহায়ক হবে

July 31, 2025

বাঁহাতি শিল্পী এবং বিজ্ঞানী লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি

July 29, 2025

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া সংঘাতের সমাধান কোন পথে

July 27, 2025

পৃথিবীর প্রথম বিজ্ঞানী মহাজ্ঞানী থ্যালিস

July 25, 2025

থিয়েটার তাঁর কাছে একটি আধ্যাত্মিক যাত্রা

July 23, 2025

পাথরের গায়ে নিঃশব্দ ভাষায় লেখা ইতিহাস

July 21, 2025
  • Login
  • Register
Pages
  • Home
  • About us
  • Disclaimer
  • Terms and Conditions
  • Contact
Kolkata361°
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp RSS
© 2025 by kolkata361.in

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

Sign In or Register

Welcome Back!

Login to your account below.

Lost password?