Close Menu
Kolkata361°
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Follow Us
  • Facebook
  • Twitter
  • YouTube 733
  • WhatsApp
Facebook X (Twitter) Instagram
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp
Kolkata361°
Subscribe Login
  • এক নজরে
  • জানা অজানা
  • দেশ-দুনিয়া
    • দেশ
    • দুনিয়া
  • অচিনপুর
  • অদ্ভুতুড়ে
  • কথাবার্তা
  • বৈঠকখানা
  • লেখালিখি
  • ঘুরে-ট্যুরে
  • রাজন্যা
    • ভালো-বাসা
    • খানা খাজানা
    • শরীর ও মন
  • অন্যান্য
    • না-বলা কথা
    • বাঁকা চোখে
    • ক্রাইম ডাইরি
    • কেরিয়ার গাইড
    • প্রবাসীর ডাইরি
    • রিভিউ
    • জ্যোতিষ
    • খেলা
    • ২১ এর ধর্মযুদ্ধ
    • রাজ্য
      • কলকাতা
      • জেলা
    • অর্থকড়ি
      • ব্যবসা
      • শেয়ার বাজার
Kolkata361°
You are at:Home»এক নজরে»আমার বেনারস
এক নজরে

আমার বেনারস

উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায়By উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায়December 22, 2023Updated:December 22, 2023No Comments3 Mins Read
Facebook Twitter WhatsApp Email
Share
Facebook Twitter Email WhatsApp

(গতকালের পর)

কৈরেমাতুল্লা খাঁ, শান্তাপ্রসাদ, কন্ঠেমহারাজ, রবিশংকর, গিরিজাদেবী, আলি আকবর খাঁ, আশু কবিরাজ, আমির খাঁ সবাই এই বেনারসে পাঁড়ে ঘাটের শিবমন্দিরে বা দশাশ্বমেধ ঘাটে অনুষ্ঠান করেছেন রাতের পর রাত। আমার মায়ের বাড়ি পাঁড়ে ঘাট দেবনাথপুরায়। আর ভি কাটরা পোস্ট অফিস, বেনারসে। বাগানের বেলগাছটার পাশে ছিল শিবের ঘর। সেখানে ১০০টা বৃহৎ, মাঝারি বড়ো, মাঝারি, ছোট, ক্ষুদে সব মিলিয়ে ১০০টা শিবলিঙ্গ। মায়ের জ্যাঠামশাইকে ডাকতাম বড়োদাদু, আমাকে বড়োই ভালবাসতেন। সংষ্কৃত পন্ডিত বীরেশ্বর চক্রবর্তী পান্ডিত্যে হয়েছিলেন শাস্ত্রী। মায়ের বাবা আমার দাদু ছিলেন অন্ধ কিন্তু কি সুন্দর তরকারি কাটতেন, এটা ওটা ছোটখাট অসুখ করলে হোমিওপ্যাথিক ওষুধও দিতেন, যৌবনে ডিপ্লোমা ইঞ্জিয়ারিং পাশ করেছিলেন। মায়ের জন্মের পর অন্ধ। হাতের কারিগরিতে নিপুন ছিলেন, একটা যাঁতি বানিয়েছিলেন নিজের হাতে আমার অন্ধ দাদু- এ ভাবা যায় না। সেই লোকটাই সন্ধ্যেবেলায় নোয়াখালী ভাষায় শিবের গাজন গান গাইতেন।

আমার বাবা ছিলেন সবারই বড়ো জামাইবাবু। আর সব শালা শালি ছিল আমার বাবার কাছে নিজের ছেলে মেয়ে। আমার মামাবাড়ি এহেন এতো গোঁড়া ব্রাহ্মণ ও ধর্মপ্রাণ পরিবার হওয়া স্বত্ত্বেও আমার পিতৃদেব কী সুন্দরভাবে পাশ কাটাতেন আমার উপনয়ন করতে। না, আমার উপনয়ন হয়নি। এই রকম একটি বৈরী পরিবেশে কি করে পারলেন আমার বাবা আমার পৈতে না দিতে? তাঁর নাস্তিকতা ও ধার্মিকতার বিরুদ্ধে ঋজুভাবের কোনদিনও স্খলন ঘটেনি কিন্তু সবার প্রতি কী যত্ন, কী অপরিসীম স্নেহ! কেদার ঘাটে একবার বাবার সাথে বেড়াতে বেড়াতে চলে গেছিলাম। ভোর বেলা। একজন পুরুষ গঙ্গায় স্নান করে আচমন করছেন সূর্য প্রণাম করতে করতে, কী নিরীহ সেই মানুষটির ছবি! বাবা বললেন, দেখো কী পবিত্র মানুষটিকে লাগছে, এই ধর্মে তার বিশ্বাস আছে আর আছে সবাইকে গ্রহণ করার আকুতি। বললেন, চলো তোমাকে নিয়ে যাই বিশ্বনাথ মন্দিরে। সেখানে দেখলাম ভগবান বিশ্বনাথ বিগ্রহকে ছোঁয়ার জন্য ভক্তদের কী আস্ফালন! পুণ্যার্থীরা হুড়োহুড়ি করে কেউ পা মাড়িয়ে দিচ্ছে রাশ ছাড়া ভিড়ে, ঠেলে ফেলে দিচ্ছে, বাবা তো ধাক্কা খেয়ে পড়েই গেলেন। আমি চেঁচিয়ে কেঁদে উঠি; বাবার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লাম যাতে বাবা আর আঘাত না পান। আমি তখন শিশু। কী কান্না আমার! বাবা বেরিয়ে এসে আমাকে বললেন, বুঝলি বাবা, এটাই আমাদের দেশ। এভাবেই দেশটাকে চিনতে পারবি রে, কাঁদছিলিস কেন? আমি বললাম, তুমি পড়ে গেছো, আমি ভয় পেয়ে গেছিলাম। বড়ো বয়সে বাবার সাথে একবার তুলসী মন্দিরে গেছিলাম। মন্দিরটি ঝাঁ চকচকে। সারা মন্দিরটির দেওয়ালে দেওয়ালে রামায়ণ লেখা আর তার ছবি আঁকা। একটা ছবিতে বিভীষণ রামকে প্রণাম করছে, সেই ছবিটা যেই দেখলেন বাবা বললেন, চিৎকার করে কয়েকটি লাইন-

কহো মহারথী, এ কি মহারথী প্রথা?

নাহি শিশু লঙ্কাপুরে শুনি না হাসিবে এ কথা…

স্বচ্ছ সরোবরে রাজহংস পঙ্কজ সলিলে

যায় কিসে কভূ প্রভু পঙ্কিল শৈবালদলের দাম…?

আশপাশের লোকজনেরা তেমন বুঝতে পারেন নি। পূজারী ছিলেন, তিনি হিন্দিভাষী মানুষ, তিনিও পারেন নি বুঝতে। বাবার বয়স তখন সত্তর, আমি তখন বছর চল্লিশ হবো। আমি জানি তখন বাবা ক্ষণেক্ষণেই কবিতা আওড়াতেন। এটা হয়েছে মাথায় এ্যাক্সিডেন্টের পরে হাসপাতাল থেকে ফিরে আসার পর। লাইনগুলো ছিল মেঘনাদবধ কাব্যের লাইন। তুলসী মন্দিরে থেকে বেরিয়ে এসে বাবাকে বিরক্ত হয়ে বললাম, কেন তুমি ক্ষেপে গিয়ে হঠাৎ ইন্দ্রজিতের কথায় বিভীষণকে কটাক্ষ করে যে ডায়লগ সেটা আওড়াচ্ছিলে? তারা কেউ বোঝেনি, বুঝলে কী অপদস্থ হতে হতো বলোতো? বাবার সেই মিটিমিটি দুষ্টামির হাসি, বুঝলি, এটাকে বলে সাবভার্সন, ওদের ডেরাতে ঢুকে ওদেরকে আক্রমণ করে আসলাম। কিন্তু কেন? বাবা বললেন, পান খাওয়াবি না? বেনারসি পাতায় ফুর্তি দেওয়া ভিজে সুপুরি ও অদ্ভুত প্রবাদের খয়ের দিয়ে জর্দা পান। বাবা বললেন, তুই তো ভাল হিন্দি জানিস না, পরে যখনই বেনারসে আসবি, স্টেশনে নেমেই এরকম একটা পান খাবি, এই পান মুখে দিলেই হুড়হুড় করে হিন্দি বলতে পারবি। আমি ফিক্ করে হেসে ফেললাম।

তখন হিন্দিতে গুণগুণ করে বেনারসী কবীরের একটা কী যেন গান করছিলেন। এটা কি হিন্দীতে গাইছো ইন্টারন্যাশানাল? বাবা বললেন, চ’, যাই।

Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr WhatsApp Email
Previous Articleআমার বেনারস
Next Article ভিখারিদের সাম্যবাদ
উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায়

Related Posts

May 22, 2025

একটু আড়ালেই পড়ে থাকেন সাংবাদিক রামমোহন

4 Mins Read
May 20, 2025

ভারত-পাক যুদ্ধের জিগির ধর্মের নামে অধর্ম

5 Mins Read
May 18, 2025

লাঠির ঘায়ে পুলিশের শিক্ষক শাসন  

3 Mins Read
May 16, 2025

পুলিশের লাঠি কি কেবল ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য  

5 Mins Read
Add A Comment
Leave A Reply Cancel Reply

Archives

একটু আড়ালেই পড়ে থাকেন সাংবাদিক রামমোহন

May 22, 2025

ভারত-পাক যুদ্ধের জিগির ধর্মের নামে অধর্ম

May 20, 2025

সাপ্তাহিক রাশিফল ( Weekly Horoscope )

May 19, 2025

লাঠির ঘায়ে পুলিশের শিক্ষক শাসন  

May 18, 2025

পুলিশের লাঠি কি কেবল ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য  

May 16, 2025

হারিয়ে যাওয়া মৃণাল সেন

May 14, 2025
  • Login
  • Register
Pages
  • Home
  • About us
  • Disclaimer
  • Terms and Conditions
  • Contact
Kolkata361°
Facebook X (Twitter) YouTube WhatsApp RSS
© 2025 by kolkata361.in

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

Sign In or Register

Welcome Back!

Login to your account below.

Lost password?