জারি বিজ্ঞপ্তি


কলকাতা ব্যুরো: করোনার সঙ্গে যাঁরা সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন তাঁদের জীবনহানী হলে সরকারে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণই ছিল এতদিন ভরসা। কিন্তু আর নয়। এবার থেকে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করে যে কোনো সরকারি কর্মী যদি করোনায় মারা যান তাহলে শুধু তাঁর ছেলে বা অবিবাহিত মেয়ে নয়, তাঁর খুব কাছের আত্মীয় চাকরির আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের এক মাসের মধ্যে চাকরি দেওয়া হবে। আবেদন করা যাবে এক বছরের মধ্যে।
শুধু সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় স্থায়ী কর্মীরাই নন, করোনার লড়াইয়ে সামনে থাকা আশা কর্মী, জাতীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা মিশনে যুক্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মী, মেডিকেল, প্যারা মেডিকেল ও নার্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত চুক্তিভিত্তিক এবং আংশিক সময়ের কর্মী, চুক্তিভিত্তিক সাফাই কর্মী, ধোপা, ডায়েটিশিয়ান–সহ চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সব রকমের চুক্তিভিত্তিক কর্মী এই নতুন নির্দেশের আওতায় পড়বেন।
শুধু তারাই নন, সিভিক ভলিন্টিয়ার, সিভিক পুলিশ ভলিন্টিয়ার থেকে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত চুক্তিভিত্তিক, ক্যাজুয়াল, দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করেন এমন কর্মীদের পরিবারও এই সুযোগ পাবে।
কোনো মুখের কথা বা আশ্বাস নয়, সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ফেলেছে রাজ্য। বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে এই নতুন নির্দেশ কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে নতুন পদ সৃষ্টি করে সময়ের মধ্যে চাকরি দিতে চায় রাজ্য।
রাজ্য অর্থ দপ্তর থেকে ‘‌দ্য ওয়েষ্ট বেঙ্গল স্পেশাল কমপেসিয়নেট অ্যাপয়েন্টমেন্ট (‌টু দ্য ডিপেন্টডেন্ট অফ কোভিড ওয়ারিয়র হু হ্যাড ডায়েড অর হ্যাজবিন পার্মানেন্টলি ইনক্যাপাসিটেটেড ডিউ টু কোভিড ১৯) ২০২০ শিরোনামে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। কোভিড যোদ্ধাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে কম্পেশনেট গ্রাউন্ডে চাকরির শর্ত শিথিল করে দিয়েছে সরকার।
করোনা যুদ্ধে মৃত্যু কিংবা চাকরি করার পরিস্থিতিতে না থাকলে তাঁর জায়গায় তাঁর ছেলে অথবা অবিবাহিত মেয়ে চাকরি পাবেন। যদি সেই শর্ত অনুযায়ী লোক না থাকে তাহলে আইনত দত্তক নেওয়া ছেলে কিংবা অবিবাহিত মেয়েরাও এ ক্ষেত্রে চাকরি পাওয়ার যোগ্য। কারোর মেয়ের আবেদন করার পর যদি বিয়ে হয়, তিনিও চাকরি পেতে পারেন।
অবিবাহিত অবস্থায় কোনও কর্মীর মৃত্যু হলে পরিবার যদি তাঁর ওপর নির্ভরশীল হয়, তাহলে ভাই বা বোন চাকরি পেতে পারবেন। শুধু গ্রুপ ‘‌ডি’‌ বা ‘‌সি’‌ নয়, যোগ্যতা থাকলে উচ্চপদেও এঁরা চাকরি পেতে পারবেন।
করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যেই সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করা করোনা যোদ্ধাদের জন্য বড়সড় বিপ্লব করে ফেললো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version