কলকাতা ব্যুরো: শুরুতেই হোঁচট। ট্রায়াল রানের প্রথম দিনেই পাতাল বিভ্রাট। সুড়ঙ্গের ভিতরে মেট্রোর লাইনে উঠলো জল। মাঝপথেই আটকে পড়লো মেট্রোর স্টাফ স্পেশাল। এমনকি জিএম ইনস্পেকশনও হলো মাঝ রাস্তা পর্যন্ত। কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় পাম্প করেও জল বের করা গেল না। অগত্যা বাড়ি ফিরে গেলেন কর্মীরা। তার মধ্যেই পার্কস্ট্রিট থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত প্রতি স্টেশন ঘুরে দেখলেন মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার। বাকি অংশ দেখবেন বুধবার। টানা প্রায় ছ’মাস বন্ধ থাকার পর ১৩ তারিখ প্রথম যাত্রী নিয়ে ছুটবে মেট্রো। সচল হবে লাইফলাইন। ওইদিন শুধু নিটের পরীক্ষার্থীরা চড়তে পারবেন। ১৪ তারিখ থেকে সাধারণ মানুষের জন্য খোলা হবে পাতালের দরজা। কিন্তু এতদিন পর মেট্রোর ট্রায়াল রানের শুরুতেই হোঁচট খাওয়ায় স্বভাবতই করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে যাত্রী পরিষেবার আগে একটা প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গেল।
কিন্তু কি হয়েছিল এদিন? মঙ্গলবার সকালে আচমকাই সুড়ঙ্গের ভিতর রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে মেট্রোর লাইনে জল উঠে যায়। লাইনের কিছুটা অংশ জলের তলায় ডোবে। তড়িঘড়ি মেট্রোর আধিকারিকদের কাছে খবর যায়। ইঞ্জিনিয়াররা এসে পাম্প চালিয়ে লাইনের জল বের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিশেষ লাভ হয়নি। এদিকে এদিনই ছিল জিএম ইনস্পেকশন। ফলে হুলস্থুল পরে যায় চতুর্দিকে। কিন্তু গোটা বিষয়টি সামলানোর মতো কর্মী পাওয়া যাচ্ছিল না। কারন কবি সুভাষ থেকে মেট্রোর যে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন সেটাই আটকে পড়ে লাইনে জল ওঠার কারনে। ওই পরিস্থিতিতে ট্রেন চালাতে গেলে থার্ড লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হতো। আর তাতেই বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল এদিন। রোজ সকালে কর্মীদের নিয়ে দুটি করে স্টাফ স্পেশাল নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষ এবং কবি সুভাষ থেকে নোয়াপাড়া যাতায়াত করে। কিন্তু লাইনে জলের কারনে সকাল সাড়ে ন’টার স্টাফ স্পেশাল টালিগঞ্জ স্টেশনে এবং দশ’টার স্টাফ স্পেশাল নিউ গড়িয়াতেই আটকে যায়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version