কলকাতা ব্যুরো: রবিবার মধ্যরাতে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) দুই তরুণীর ঐতিহাসিক ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার অন্ত ছিল না। এই শতকে প্রথমবার এল টিনএজার ফাইনালে কানাডার লেইলা ফার্নান্ডেজকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিয়ে ফ্লাশিং মিডোয় ইতিহাস রচনা করলেন ব্রিটেনের এমা রাডুকানু।

যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের আগে এ বছরের উইম্বলডনেই প্রথমবার গ্র্যান্ড স্ল্যামে আর্বিভাব ঘটে এমার। ঘাসের কোর্টে শুরুটা ভাল করেও হতাশাজনকভাবে চতুর্থ রাউন্ডে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জেরে সরে দাঁড়াতে তাঁকে। সেইসময় তাঁর ভাগ্যে জুটেছিল চাপ সামলাতে না পারার তকমাও। তবে সমালোচকরা তো দূর, এমার অনুরাগীরাও হয়তোই কেউ ভেবেছিলেন মাত্র দুই মাস পরেই ব্রিটিশ তরুণীকে আর্থার অ্যাশে খেতাব হতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাবে।

তবে ক্রীড়া জগতে কোনদিন প্রত্যাশা মতো সবকিছু হয়। মাত্র তিন বছর আগেই উইম্বলডন জুনিয়রের দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিলেন এমা ও লেইলা। সেই ম্যাচের মতো এদিন নিজেদের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যামের লক্ষ্যে কোর্টে নামা দুই তরুণীর লড়াইয়েও বাজিমাত করলেন ১৮ বছরের এমা। ৬-৪, ৬-৩ ব্যবধানে জেতেন।

প্রসঙ্গত, কোয়ালিফায়ার থেকে নিজের যাত্রা শুরু করে এমাই প্রথম তারকা হিসাবে ফ্লাশিং মিডোয় খেতাবি লড়াইয়ে নেমেছিলেন। এদিন গোটা টুর্নামেন্টের ধারা বজায় রেখে একটিও সেট না খুইয়ে ফ্লাশিং মিডোয় নিজের ১০ নম্বর ম্যাচ জিতে খেতাব নিজের নামে করেন এমা। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে শুরুর সময় বিশ্বের ১৫০ নম্বর মহিলা সিঙ্গেলস টেনিস তারকা হিসাবে কোর্টে নামা এমা, কোর্ট ছাড়লেন নিজের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে ২৩ নম্বর টেনিস তারকা হিসাবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version