কলকাতা ব্যুরো: ক্যানিংয়ে পঞ্চায়েত সদস্য এবং ২ তৃণমূল কর্মীকে গুলি (TMC Worker Murder) করে ও কুপিয়ে খুনের ঘটনায় ২ মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ। পরিবারের তরফে দায়ের করা এফআইআরে নাম রয়েছে মোট ৬ জনের। ইতিমধ্যেই তাদের মধ্যে ৪ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের (TMC Worker Murder) জেরে থমথমে গোটা এলাকা। অধিকাংশ বাসিন্দা আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছেন। মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি, ভূতনাথ প্রামাণিক এবং ঝন্টু মাঝি নামে দুই তৃণমূল সদস্য বাড়ি থেকে বেরোন। তাঁরা প্রত্যেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মতলা এলাকার বাসিন্দা। ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তাঁরা তিনজনই বাইক চড়ে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, পিয়ার পার্কের কাছে দুষ্কৃতীরা তাঁদের পথ আটকায়। স্বপনকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। ভয় পেয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন ভূতনাথ এবং ঝন্টু। তবে দুষ্কৃতীরা তাঁদেরও লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর গলার নলি কাটা হয় বলেও অভিযোগ।

স্বপন মাঝি খুনের (TMC Worker Murder) নেপথ্যে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। পরিবারের দাবি, বেশ কিছুদিন নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন স্বপন মাঝি। তিনি যে খুন হতে পারেন তা আন্দাজও করছিল। বিষয়টি নিয়ে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস কেও জানিয়েছিল। এমনকি ক্যানিং থানায়ও জানিয়েছিল।

পুলিশ জানতে পেরেছে, এলাকার পঞ্চায়েত গঠন নিয়েও যথেষ্ট রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছিল বিগত পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে। তারপর এলাকার উন্নয়নের কাজ নিয়ে স্বপন মাঝির সাথে দ্বন্দ্ব বেঁধেছিল এলাকারই এক দুষ্কৃতীর রফিকুল সর্দারের। ফলে খুনের নেপথ্যে সেই ঘটনার যোগ থাকার সম্ভাবনা থাকছেই।

বৃহস্পতিবারই স্বপন মাঝির পরিবারের তরফে এফআইআর করা হয়েছে। সেখানে নাম রয়েছে, রফিকুল সর্দার, জালালউদ্দিন আকন্দ, বসির শেখ, এরাইদুল্লা মণ্ডল ও আলি হোসেন নস্করের। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version