কলকাতা ব্যুরো: বাগদায় রাতের অন্ধকারে গণধর্ষণের ঘটনায় ২ বিএসএফ জওয়ান জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। রক্ষীদের হাতে আমজনতাকে এভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভের পারদ ক্রমশ চড়ছেই। ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার বাগদায় গেল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। ছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মুখপাত্র কুণাল ঘোষ-সহ আরও অনেকেই।

এদিন ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন শশী পাঁজা, কুণাল ঘোষরা। বাগদায় প্রতিবাদ সভা থেকে বিএসএফকে নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। বুঝিয়ে দেন, নারী নিরাপত্তার সঙ্গে একচুল আপোসেও রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস।

মহিলাদের উপর অত্যাচারকারীরা দেবীর পুজো করেন না, এভাবেই বিএসএফ জওয়ানদের উপর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন শশী পাঁজা। এদিন বাগদা পৌঁছে তিনি সেই গ্রামে চলে যান, যেখানে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। সেখানকার স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন। নিরাপত্তা নিয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করেন।

কুণাল ঘোষের বক্তব্য, বিএসএফের বিপক্ষে নই আমরা। তাঁরা তো সীমান্তের সুরক্ষায় নিয়োজিত। কিন্তু এই বিএসএফ জওয়ানরা যদি মা-বোনদের সঙ্গে অসভ্যতামি করে, তাহলে তো তার প্রতিবাদ করতেই হবে। এখানকার যা পরিস্থিতি, তাতে সন্ধে ৬ টার পর এখানে কোনও মহিলা বেরতে পারেন না বাইরে। তাঁরা ভয় পাচ্ছেন। বিএসএফের কাজের এক্তিয়ার ১৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করার কথা বলেছে কেন্দ্র, আমরা তার প্রতিবাদ করেছি। এমন ঘটনা ঘটলে ৫০ কিলোমিটার করার অর্থ কী? সুরক্ষাবৃদ্ধির বদলে সর্বনাশ ঘটবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version