কলকাতা ব্যুরো: হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জের। এবার তীব্র উত্তেজনা ছড়াল নদিয়া, মুর্শিদাবাদে। রবিবার বেথুয়াডহরি স্টেশনে রানাঘাট-লালগোলা মেমুতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি শুরু করে দেন যাত্রীরা। ঘটনার জেরে অনেকক্ষণ আপ লাইনে বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। এই ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় প্রচুর পরিমাণে আরপিএফ, জিআরপি সহ অন্যান্য পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করা হয়। এদিকে ঘটনার পরই শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আইন ভাঙলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

জানা গিয়েছে এদিন প্রতিবাদ মিছিল বেরোয় নাকাশিপাড়া এলাকায়। মিছিল মেন রোডে উঠে নেতাজি স্ট্যাচু মোড়ে পৌঁছয়। তারপরই সেখানে পথ অবরোধ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে নামানো হয় পুলিশ। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটানোর চেষ্টা করে। তোলার চেষ্টা হয় অবরোধ। বিক্ষোভকারীদের উপর লাঠিচার্জ করা হয়। তাতেই মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে সেখান থেকে একটি অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে বেথুয়াডহরি স্টেশনে ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধে ৬টা বেজে ৫ মিনিটে স্টেশনে দাঁড়িয়েছিল রানাঘাট-লালগোলা লোকাল। আচমকাই প্ল্যাটফর্মে ঢুকে পড়ে উত্তেজিত বিক্ষভকারীরা। ট্রেনটির উপর ক্ষোভ গিয়ে পড়ে তাদের। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। ভেঙে দেওয়া হয় জানলার কাচ। প্ল্যাটফর্মে জানলার কাচভাঙা অবস্থায় ট্রেনটির ছবিও সামনে এসেছে। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি হাসপাতালের সামনে পর পর কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।

অন্যদিকে পয়গম্বর বিতর্কের জেরে এদিন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরও। রবিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল থেকে রাস্তার ধারের দোকানপাট ভাঙচুর ও ব্যাপক লুটপাট চালানোর অভিযোগ ওঠে। ঘটনার জেরে দোকান ও বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় দোকানদার সহ বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিসবাহিনী।

এরপরই পরিস্থিতি সামাল দিতে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পুলিস কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় এবং ব্যাপক লাঠিচার্জ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version