কলকাতা ব্যুরো: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রথম দিন থেকেই ক্রস ভোটিংয়ের (Cross Voting) কথা জানিয়ে আসছিলেন বিরোধী দলনেতা-সহ বিভিন্ন বিজেপি নেতারা। অবশেষে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের শেষে প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে তাদের আশঙ্কাই সত্যি হলো। দিনের শেষে এই রাজ্যের বিধানসভা থেকে এনডিএ প্রার্থী পেয়েছেন একাত্তরটি ভোট। বিজেপির তরফ থেকে ৬৯ জন বিধায়ককে আলাদা করে হোটেলে রেখে নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোট করানো হয়েছিলো। বিজেপি বিধায়ক পবন সিংহ ওই দলের বাইরে ছিলেন। কিন্তু ভোটের দিন তিনি বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে মিলে ভোট দেন।

যদি তাঁর ভোট দ্রৌপদী মর্মু পেয়ে থাকেন তাহলেও এই সংখ্যাটা ৭০। যেহেতু এনডিএর রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী এ রাজ্যের বিধানসভা থেকে ৭১টি ভোট পেয়েছেন, তার মানে এমন কেউ আছেন যিনি তৃণমূলে থেকেও দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে, এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে তাতে এই রাজ্য থেকে চার বিধায়কের ভোট বাতিল হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, এই চারটি ভোট এ রাজ্যের শাসক শিবিরের। যদি এমনটি না হয় তাহলে দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেওয়া বিধায়কের সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে।

প্রসঙ্গত এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শাসক দলের তরফ থেকে ভোট দান করেছিলেন ২১৫ জন বিধায়ক। এছাড়া ছিলেন পাঁচ জন দলবদলু। একজন ছিলেন নির্দল বিধায়ক। সর্বসাকুল্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্রস ভোটিং (Cross Voting) নতুন করে রাজ্যের শাসক দলের অন্দরেই প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল। একই সঙ্গে তৈরি করল অবিশ্বাসের আবহ।

প্রথম থেকেই রাজ্যের শাসকদলের তরফ থেকে বলা হচ্ছিল, বিজেপির মধ্যে থেকেই ক্রস ভোটিং (Cross Voting) করা হবে। যেহেতু দল বদলুদের একটা অংশ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন, তাই তারা এই ক্রস ভোটিংয়ের ভোট যে তাদের পক্ষেই যাবে তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন। কিন্তু দিনের শেষে কে সেই বিধায়ক যিনি দ্রৌপদী মর্মুকে ভোট দিলেন, সেটা খুঁজে বের করাই বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে রাজ্যের শাসক দলের জন্য।

যদিও এই নিয়ে শাসক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তৃণমূলের পরিষদীয় দলের সদস্যরা কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। এই অবস্থায় আগামীতে রাজ্যের শাসক দল এ প্রসঙ্গে কী বলেন সেটাই দেখার।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version