কলকাতা ব্যুরো: দীর্ঘ রোগভোগের পর রবিবার সকালে মারা গেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও কংগ্রেস ঘরানার দীর্ঘদিনের রাজনীতিক তৃণমূল নেতা সাধন পান্ডে। সকাল সোয়া দশটায় মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে ৭১ বছর বয়সে তিনি মারা যান। মোট ন বারের বিধায়ক। দীর্ঘ ছ বারের কংগ্রেস বিধায়ক সাধন পান্ডে। তিনবার জিতেছেন তিনবার।১৯৯৮ সালে লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত হন। রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরকে আম নাগরিকের সঙ্গে যুক্ত করার ক্ষেত্রে মন্ত্রী হিসেবে তিনি ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছিলেন। আজই তার দেহ কলকাতায় আনার কথা। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোাপাধ্যায়। তার মেয়ে শ্রেয়া পান্ডে জানান, অনেক চেষ্টা করা হলেও শেষ রক্ষা হলো না।

উত্তর কলকাতার বড়তলা থানা এলাকার দীর্ঘদিনের বিধায়ক সাধন পান্ডে। ২০১১ সাল থেকে মানিকতলা বিধানসভার তিনি বিধায়ক। তৃণমূলের জন্ম লগ্ন থেকে দলের সঙ্গে থাকা সাধন পান্ডে ঠোঁটকাটা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। সে কারণে কখনো-সখনো দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তার ঠোকাঠুকি লেগেছে। কিন্তু কোন বক্তব্য রাখলে, সেখান থেকে তাকে টলানো যায়নি।

তৃণমূল সরকার তাকে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে নিজের অধিকার বুঝে নেওয়ার ক্ষেত্রে এই দপ্তর এর ভূমিকা প্রচারে তিনি সবচেয়ে উদ্যোগ নেন। একইসঙ্গে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর কিভাবে ক্রেতাকে অধিকার পাইয়ে দিল, তার প্রচারের জন্য উদ্যোগী হন। বরাবরের দিলখোলা সদাহাস্যময় এই রাজনীতিকের সঙ্গে আমজনতার যোগ ছিল নিবিড়। তাই বিভিন্ন সময় দলের লাইনের বাইরে গিয়ে কথা বললেও, তাকে খুব বেশি সমস্যার মুখে ফেলেনি দল।
দীর্ঘদিন কিডনির সমস্যায় ভুগতে থাকা সাধন পান্ডে ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে মুম্বাইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হন। তৃণমূলের সাংসদ -চিকিৎসক শান্তনু সেন জানান, অসুস্থতা সাধনদাকে এতটাই ঘিরে ফেলেছিল, শেষ দিকে চিকিৎসকরাও আর আশা রাখতে পারছেন না

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version