কলকাতা ব্যুরো: ২৪ ঘণ্টা পেরোয়নি। তার মাঝেই হাতে এল প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কে কে’র ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। প্রাথমিক রিপোর্টে মিলল না কোনও অস্বাভাবিকতা। সাধারণভাবে রিপোর্টে জানানো হয়েছে হার্ট অ্যাটাকেই মৃত্যু হয়েছে কে কে’র । তবে এখনও কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। ৭২ ঘণ্টা পর জানা যাবে ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট, এমনটাই জানালো এসএসকেএ। ওই রিপোর্ট হাতে এলেই পরিষ্কার হবে সবটা।

তবে কীভাবে হলো কেকে’র মৃত্যু? কারাই বা ছিলেন তাঁর সঙ্গে? তাঁরা এসব বোঝার পরেও কেন কোনও ব্যবস্থা নেননি। অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থতা বোধ করার সময় কেন কেকে’র ম্যানেজার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিলেন না? এমন একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন করে সোশাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ কেকে এবং রিপ কেকে দিয়ে পোস্ট করছেন অনুরাগীরা। এসব নিয়ে তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।

ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই কেকে’র ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে নিউ মার্কেট থানার পুলিস। গ্র্যান্ড হোটেল থেকে কেকে’র তোয়ালে, রুমাল, খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক টিম। সেগুলিকে পরীক্ষা করে জানার চেষ্টা চলছে। নিয়ম মোতাবেক কেকে-র দেহের ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয়েছে। সেটিও ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্টের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সূত্রের খবর, কেকে অসুস্থ হয়ে হোটেলের ঘরের সোফায় বসতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। তখনই তাঁর কপাল এবং থুতনিতে চোট লাগে। রক্তপাতও হয়। তার পরেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। কিন্তু ততক্ষণে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। শেষপর্যন্ত হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। কিন্তু দেহে ক্ষতচিহ্ন থাকায় কেকে-র মরদেহের ময়নাতদন্তও করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশিই দায়ের করা হয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলাও।

মঙ্গলবার এই সময়  উচ্ছাস, উন্মাদনায় গমগম করছে নজরুল মঞ্চের গেট। লাইভ কনসার্টের সময় ছিল ঠিক বিকেল ৫ টা। আড়াই হাজারের ক্ষমতা নিয়ে ৭০০০ হাজারদর্শকের ভিড়ে উপচে পড়েছিল নজরুল মঞ্চ। বাধ্য হয়েই শেষে পুলিসকে ভিড় আটকাতে হয়। সব মিলিয়ে শো শুরু হয় ৭ টা ১০ এ। মঞ্চে ওঠেন কে কে। দেড় ঘণ্টার জমজমাট অনুষ্ঠানে স্টেজ মাতিয়ে রাখেন। দর্শকদের মধ্যে যে অন্যরকম উন্মাদনা ছিল তা গত শেষ কয়েকদিনেই বোঝা গিয়েছিল পড়ুয়াদের মাঝে।কিন্তু শো থেকে ফিরে এই ঘটনায় একেবারে চমকে গিয়েছে অবেকেই যারা এদিন কে কে’র এই লাইভ কনসার্টে ছিলেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version