কলকাতা ব্যুরো: মঞ্চ প্রস্তুত, কেবল দু’দলের ক্রিকেটারদের মাঠে নামার অপেক্ষা। রবিবাসরীয় মহারণের গনগনে আগুনে গা সেঁকছেন ভারত-পাক দু’দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা। আর সেই গনগনে আগুনের আঁচে উত্তাপ বাড়ছে বুর্জ খলিফার শহরে।

শনিবার সকালে ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনের পর দুপুরে একইসঙ্গে যখন বিরাট-বাবররা অনুশীলনে নামছেন সে সময় দুবাই শহরের পারদ চড়েছে সপ্তমে ৷ রবিবার সারাদিন আমিরশাহীর রাজধানির পারদ এমন সপ্তমেই যে থাকবে সেবিষয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই কারণ মরুশহরে রবিবার বিশ্বক্রিকেটের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত এনকাউন্টার ৷ যাকে অ্য়াসেজের চেয়েও এগিয়ে রাখছেন নাসের হুসেন।

এই প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে ধোনি-ব্যতীত অন্য কোনও অধিনায়কের হাত ধরে নামছে টিম ইন্ডিয়া ৷ তবে অধিনায়ক না হয়েও মেন্টর হিসেবে দলের সঙ্গে জুড়ে রয়েছেন রাঁচির মেকন কলোনির বাসিন্দা ৷ হার্দিকের ব্যাটিং টেকনিকে যেটুকু খুঁত আছে তা যেন শনিবার বিকেলে শেষ প্রস্তুতিতে শুধরে দিতে চাইলেন ৷ একইসঙ্গে পন্থকে উইকেটকিপিংয়ের পাঠ দিলেন চল্লিশের মাহি ৷ বিরাটের মন্দভাগ্যকে ‘চ্যাম্পিয়নস লাকে’ পরিবর্তন করার গুরুদায়িত্ব যে তাঁরই কাঁধে ৷

বাবর আজমদের বিরুদ্ধে ফেভারিট হিসেবে বিরাটরা শুরু করলেও ভারত-পাক ম্যাচের লড়াইয়ে টেনশনের চোরাস্রোত দুই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে ৷ ছ’য়ে ছয় করার লক্ষ্যে পাক ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে প্রতিপক্ষকে নিয়ে কম, হার্দিককে নিয়ে বেশি প্রশ্ন ছিল ভারতীয় ক্যাপ্টেন কোহলির কাছে ৷

হার্দিকের বোলিং প্রসঙ্গে বিরাট বললেন, “আমার মনে হয়, এখন হার্দিক বোলিং করার মতো পজিশনে রয়েছে ৷ প্রয়োজনে ওকে অন্তত দু’ওভার বল করানো হতে হতে পারে ৷ তবে হার্দিক ছাড়াও আমাদের হাতে অনেক বোলিং অপশন রয়েছে ৷ সুতরাং আমরা এটা নিয়ে ভাবছি না ৷”

বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে চর্চিত এবং উত্তেজক এনকাউন্টারের প্রাকমুহূর্তে সাংবাদিক সম্মেলনে পাক দলনায়ক বাবর আজম বললেন, “প্রত্যেক দলই কোনও না কোনও শক্তি নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে ৷ ঠিক তেমনই বোলিং আমাদের শক্তির জায়গা ৷ বড় কোনও টুর্নামেন্ট জিততে হলে দলের বোলারদের গুরুদায়িত্ব পালন করতে হয় ৷ সেদিক থেকে দেখতে গেলে আমাদের বোলাররা দুর্দান্ত শেপে রয়েছে ৷ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, বিশ্বকাপের মত মঞ্চে ওদের খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ৷”

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version