কলকাতা ব্যুরো: কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্যশালী ও প্রাচীন পুজোর একটি শোভাবাজার রাজবাড়ির পুজো। এবার বিসর্জনে ব্যতিক্রম ঘটাল করোনা বিধির কারণে।
অন্যত্র দুর্গাপুজোয় যেমন সিঁদুরখেলা একটা প্রথার সঙ্গেই উৎসব হয়ে গিয়েছে, শোভাবাজার রাজবাড়ির ক্ষেত্রে এটাকে বলা হয় সিঁদুর দান। এই একদিনে রাজবাড়ীর লোকের সঙ্গে স্থানীয় বা বাইরের মহিলারা মিলেমিশে সিঁদুর দানে উপস্থিত থাকেন।
কিন্তু এবার এই প্রথম সিঁদুর দানে বাইরের লোকের ঢোকা নিষেধ করা হয়েছে। ২৬৪ বছরের পুজোয় এবার শুধুই রাজবাড়ির মহিলারা নিজেদের মধ্যে সিঁদুর দান করলেন। তার সঙ্গেই রীতি মেনে কনকাঞ্জলি হল।
বিসর্জনের দিন দেবীর বরণের সময় দামি স্বর্ণালঙ্কারে সাজানো হলো বাড়ির মেয়ে হিসেবে পূজিতা দেবী দুর্গাকে। আগে বিসর্জনের দিন নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানো হতো রাজবাড়ী থেকে। কিন্তু এখন সে রীতি বাতিল করা হয়েছে। যদিও প্রতীকী নীলকন্ঠ এখনও রয়ে গিয়েছে।
অন্যান্যবার বাগবাজার ঘাটে বিসর্জন দেখতে আসা দর্শকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ থাকে শোভাবাজার রাজবাড়ির দেবীর বিসর্জন।
কিন্তু এবার করোনার সংক্রমনের আশংকা সেই দর্শকেরও তেমন ভিড় চোখে পড়েনি। খুব সাদামাটা ভাবেই দেবীর বিসর্জন হলো গঙ্গায়।