কলকাতা ব্যুরো: মাঝে অল্প সময়ের বিরতি৷ মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ চলার পর সন্ধে ৭টা নাগাদ ইডি অফিস থেকে বেরলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী৷ তবে আগামিকাল বুধবার ফের তাঁকে হাজিরা দিতে হবে ইডি দফতরে৷ এদিন প্রায় ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ চলে সোনিয়ার৷ ন্যাশনাল হেরাল্ড আর্থিক নয়ছয় মামলায় এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তাঁকে তলব করল ইডি৷

এদিনও ইডির তলবের প্রতিবাদে কর্মীদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সাংসদরা৷ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহারের প্রতিবাদে রাস্তায় ধরনায় বসে পড়েন রাহুল গান্ধীও৷ রাহুল-সহ কংগ্রেস সাংসদদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় দিল্লি পুলিস৷

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলাতে গত ২১ জুলাই প্রথম ইডির আধিকারিকদের মুখোমুখি হন সোনিয়া৷ সেদিন প্রায় তিনঘণ্টা তিনি ছিলেন ইডি দফতরে৷ এরপর সোমবার তাঁকে তলব করে ইডি৷ কিন্তু সেদিন নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান থাকায় তলবের দিন পিছিয়ে মঙ্গলবার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷

সূত্রের খবর, গত দু’দিনে সোনিয়াকে মোট ৫৫টি প্রশ্ন করা হয়৷ এই প্রশ্নগুলি আগে রাহুল গান্ধীকেও জিজ্ঞাসা করেছিল ইডি৷ একই প্রশ্ন করে ইডি আসলে দু’জনের বয়ানে কোনও অসঙ্গতি রয়েছে কি না সেটাই দেখতে চাইছে৷

জিজ্ঞাসাবাদের প্রথমদিন তিনঘণ্টা পর কংগ্রেস সভানেত্রীর ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে আসার নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়৷ ইডি সূত্রে দাবি করা হয়, সোনিয়া গান্ধী অসুস্থতা বোধ করায় তাঁকে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়৷

যদিও কংগ্রেস সেই দাবি খারিজ করে দেয়৷ দলের অন্যতম নেতা জয়রাম রমেশ জানান, সোনিয়া রাত ৮টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যেতে বলেছিলেন৷ জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনও অসুবিধা হবে না৷ আসলে দুপুর তিনটের পর সোনিয়াকে প্রশ্ন করার মতো কিছু ছিল না ইডির৷

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version