সন্দীপ ঘড়াই

শেয়ার মার্কেট এনালিস্ট

Kolkata 361-এর নতুন সংযোজন বাজার অর্থনীতির বিশ্লেষণ। আমরা এবার থেকে প্রতিদিন বাজার সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত তথ্য জানাবো এবং কখন কোথায় কিভাবে পুঁজি নিবেশ করবেন সে সম্পর্কেও আমাদের ভাবনা আমরা আপনাদের জানাবো ।

অনিশ্চয়তা শব্দটির সাথে আমরা আজ নতুনভাবে পরিচিত। কি পথে গোটা দেশের অর্থনীতি আগামী দিনে চলবে তা নিয়ে সারা বিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশের অর্থনীতিবিদরাও ধন্দে। সঠিক মূল্যায়ন করে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার ফর্মুলা এই মুহূর্তেই পাওয়া কঠিন।

অতিমারি কোভিড ১৯ এর ধাক্কায় ভারতীয় অর্থনীতি তলানিতে এসে পৌঁছতে শুরু করেছে। ভারতীয় অর্থ মন্ত্রকের দাখিল করা তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯- ২০ অর্থ বর্ষের শেষ ত্রৈমাসিক সময়কালে দেশে বৃদ্ধির হার শতকরা ৩.১% এসে দাঁড়ায়।

বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও বিভিন্ন নির্ণায়ক সংস্থা প্রাথমিক ভাবে ২০২১ অর্থ বর্ষে ভারতীয় অর্থনীতির উৎকর্ষতার মান সর্বনিম্ন হিসেবে বর্ণনা করেছে। নব্বই দশকের গোড়ার দিক থেকে ভারতীয় অর্থনৈতিক উদারীকরণ-র সময়কাল থেকে শুরু করে এযাবৎকাল অবধি তিন দশক সময়কালে যা সর্বনিম্ন হতে চলেছে। যা নিশ্চিতভাবেই একটি অশনিসংকেত ! যাই হোক, মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভারতীয় অর্থমন্ত্রীর অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণার পরেও জিডিপি (জাতীয় গড় উৎপাদন) ভীষণ ভাবে নিচের দিকে নামতে শুরু করে । সংখ্যার বিচারে যা ভয়াবহ। এক গভীর অর্থনৈতিক মন্দার দিকে এগিয়ে চলেছে দেশ । CRISIL ( Credir Rating Information Service of India Ltd. ) ঘোষণা করে যে স্বাধীনতা উত্তর ভারতবর্ষে এই প্রথম এত বড় আকারে অর্থনৈতিক মন্দা আসতে চলেছে যা এর আগে কেউ উপলব্ধি করতে পারেনি ।

বেকারত্বের হার যেখানে ৬.৭% ছিল তা ক্রমাগত বাড়তে বাড়তে ১৫ই মার্চ ‘২০ তে ২৬% পৌঁছায় । ধরে নেওয়া হচ্ছে লকডাউন পর্বে প্রায় চোদ্দো কোটি মানুষ নতুন করে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মচারীদের মাসিক মাইনেও অনেক ক্ষেত্রেই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৪৫%-র বেশি ভারতীয় পরিবারের পারিবারিক আয় গত বছরের তুলনায় নিচে নেমে আসে দুর্ভাগ্যজনকভাবে। ভারতীয় অর্থনীতি প্রতিদিন প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপ্রাপ্ত হয় লকডাউনের প্রথম একুশ দিনে । লকডাউন এর পুরো সময়কাল ধরলে ভারতীয় ব্যবসার মোট মূলধন $ ২.৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের এক চতুর্থাংশ কার্যকরী মূলধন হিসেবে বর্তমান ছিল।উল্লেখজনক ভাবে ভারতের সামগ্রিক ব্যবসার ৫৩% ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

লার্সেন টুবরো, ভারত ফোর্জ, আল্ট্রাটেক সিমেন্ট, গ্রাসিম ইন্ড্রাস্টিজ, আদিত্য বিড়লা , ভেল ও টাটা মোটরস এর মতো প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় শিল্প সংস্থাগুলো হয় তাদের ক্রিয়া প্রক্রিয়াগুলো বন্ধ রেখেছে বা তাৎপর্যপূর্ণভাবে তা কমিয়ে এনেছে। কিছু নতুন অনামী সংস্থা বিনিয়োগের অভাবে ভুগছে। বিখ্যাত এফএমসিজি সংস্থাগুলি তাদের দৈনন্দিন প্রক্রিয়া সীমিত করেছে । নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের উপর বিশেষ ভাবে দৃষ্টি আরোপ করেছে। ভারত সরকার এই ভয়াবহ অতিমারিতে বিভিন্ন পথ অবলম্বন করেছে যাতে এই আর্থিক মন্দার সাথে লড়াই করা যায়। খাদ্য সুরক্ষা,স্বাস্থ্য পরিষেবায় অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগ, বিভিন্ন রাজ্যকে বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্যাকেজ এর আওতায় আনা ও সাথে মোরেটরিয়ামের সময়সীমাকে বাড়িয়ে ছিল যাতে করে সাধারণ মানুষের তীব্র যন্ত্রণার কিছু আশু উপশম হয়!

বিগত ২৬শে মার্চ ২০২০ তে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করা হয় । পিছিয়ে পড়া গরীব মানুষের স্বার্থে যাতে এই অতিমারিকে মোকাবেলা করা যায় সেই উদ্দেশে। পরের দিন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নানান খাতে ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক অনুদান ঘোষণা করে ভারতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য। বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক ও ভারত সরকারকে বেশ কিছু পরিমাণ টাকার অনুদান মঞ্জুর করে এই ভয়াবহ পরিস্থিতিকে সামলানোর তাগিদে।

১২ মে প্রধানমন্ত্রী ২০ লক্ষ কোটি টাকার এক বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন। যা সেই সময়ের জিডিপির দশ শতাংশের সামান্য নিচের অঙ্কের সমতুল্য , যা ভারতকে আত্মনির্ভর হতে সাহায্য করবে। ভবিষ্যতে যা স্বনির্ভরশীল ভারত নামেও ব্যপ্তি পাবে !

২৮শে এপ্রিল প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা (সিইএ) ভারত সরকার কে বলেন যে ভারত যেন ২০২১ আর্থিক বর্ষে নেগেটিভ অর্থনৈতিক বৃদ্ধি পরিকল্পনা করে এগোয়। ২২শে মে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-র গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ নিজেও বলেন, ২০২১ সালে ভারতবর্ষের জিডিপি বৃদ্ধি নেগেটিভ থাকবে। বিভিন্ন অর্থনৈতিক মান নির্ধারক সংস্থাও আশঙ্কা প্রকাশ করে যে ২০২১ সালে ভারতীর জিডিপি নেগেটিভ আকারেই বর্তমান থাকবে। ইকরা ( ICRA) ও গোল্ডম্যান স্যাচ ( Goldman Sachs )-র মতো সংস্থা ও ঘোষণা করে যে ভারতীয় ডিডিপি পাঁচ শতাংশ নেগেটিভ থাকবে বর্তমান অর্থনৈতিক বছরে যা ভারতে এক অর্থনৈতিক মন্দার সৃষ্টি করবে।

GDP predictions for FY21 post announcement of economic package (May 2020)

SNAgencyEstimate
1Bernstein-7%
2ICRA-5%
3Goldman Sachs-5%
4Nomura-5%
5Fitch-5%
6SBI-4.70%
7CARE Rating-1.5%-1.6%

সারা পৃথিবী জুড়ে যে পদ্ধতিতে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালিত হচ্ছিল তা আজ প্রায় স্তব্ধ। গোটা পদ্ধতিটি নতুনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা চলছে প্রতিনিয়ত প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে। যতটা কাজ করা সম্ভব তার কিছুটা হলেও অগ্রগতি ঘটেছে। ভারি শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ যেমন কমেছে একইসঙ্গে কমেছে মুনাফার পরিমাণ। সরকারিভাবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাহায্য এলেও ভারতবর্ষের মতো দেশের ক্ষেত্রে তা যৎসামান্যই বটে।

আগামী দিনে ব্যাঙ্ক, এনবিএফসি, হাউসিং ফিনান্স এক কঠিন সমযের সম্মুখীন হতে চলেছে। মোরেটোরিয়াম শব্দটির সাথে এখন আমরা পরিচিত হলেও এর প্রভাব কতখানি তা আগামী দিনের ব্যাঙ্কিং পরিসংখ্যান থেকে পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এনপিএ-র পরিমান বৃদ্ধি পাবে ব্যাপকহারে। ব্যাঙ্কিং শিল্পে চরম মন্দার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা কথা বলতে পারি, ভারতবর্ষের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা এতটাই শক্তিশালী যে ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী আর্থিক মান্দাতেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। ২০২০ তে কোভিড-এর সাথে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা কতটা লড়াই করে জয়ী হতে পারে তা আগামী দিনই বলবে।

ব্যাঙ্কিং এর পাশাপাশি এনবিএফসি (নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল করপোরেশন) এবং এইচএসসি (হাউজিং ফিনান্স করপোরেশন) কে চরম সংকটের মুহূর্তে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া আর্থিক সাহায্য করে কিছুটা হলেও NBFC,SME এবং MSME ক্ষেত্রগুলি স্বস্তি পেয়েছে।

আইএমএফ-র সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী গ্লোবাল GDP প্রোজেকশনের থেকে ৪.৯ শতাংশ কমেছে ২০২০-র এপ্রিলে। ১.৯ শতাংশ কম ভারতবর্ষে। ৬.১ শতাংশ থেকে নেমে ৪.২ শতাংশ হয়েছে।লকডাউন পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যে চরম সঙ্কটের মুখে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমরা kolkata 361 এই পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে আমাদের পোর্টালের মাধ্যমে আপনাকে নতুন আয়ের পথ বা রাস্তা করে দেওয়ার কিছু পরামর্শ দিতে পারি। এর জন্য প্রয়োজন তথ্য ও সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় নিবেশ বা বিনিয়োগ।

বেশিরভাগ মানুষের কাছেই ব্যক্তিগত বিনিয়োগ মনে ফিক্স ডিপোজিট বা পোস্ট অফিসে টাকা রাখা। কেউ কেউ সোনা কিনলেও তা গহণা হিসেবেই কেনেন। ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার ৫.৭৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ যা প্রয়োজনের তুলনায় এতটাই কম যে আমাদের অন্য পথে যেতে হচ্ছে। সোনা রুপা এখন সর্বকালীন সর্বোচ্চ মূল্যে। শেয়ার শব্দ কানে এলেই তথাকথিত ভাবে ভীতি এবং তার থেকে একটা দূরে থাকার প্রবণতা (যেটা বুঝি না সেখানে পয়সা ইনভেস্ট করবো না) রয়েছে। শেয়ার শব্দের অর্থ ভাগ। ভারতবর্ষের যে কোনো ভালো কোম্পানির শেয়ার যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে সেই কোম্পানি যদি আগামী দিন মুনাফা করে তাহলে সেই কোম্পানির লভ্যাংশ আপনি পাবেন। আপনার সেই কোম্পানির শেয়ারের মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা এমন একটা রাস্তা যেখানে সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করলে সেখান থেকে মুনাফা করা সম্ভব স্বল্প সময়ে। আমরা আপনাকে এবিষয়ে সাহায্য করবো প্রতিদিন আগাম জানিয়ে।

সপ্তাহের শুরুতেই সোমবার বাজার খোলার সাথে সাথে নিফটি (NIFTY) ১১৭৯৪.২৫ বিগত দিনের থেকে (+১৪৬.৬৫) পয়েন্ট, সেনসেক্স (SENSEX) ৪০০১০.১৭ (+৫৪৩.১৭) পয়েন্ট এবং ব্যাঙ্কিং সূচক (BANK NIFTY) ২৫২৩২.৬০ (+৯২৩.৪৫) উপরে যায়। বেলা বারার সাথে সাথেই লাদাখের পেঙ্গং লেকের কাছে ভারত ও চিন সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা বাজার এক ভীতির সৃষ্টি করে। দ্রুত গতিতে বাজার নিচের দিকে চলে আসে। দিনের শেষে নিফটি (NIFTY) ১১৩৮৭.৫০ (-২৬০.১০) বা ( -২.২৩% ) , সেনসেক্স (SENSEX) ৩৮৬২৮.২৯ (-৮৩৯.০২) বা ( -২.১৩% ) এবং ব্যাঙ্কিং সূচক (BANK NIFTY) ২৩৭৫৪.৩৫ (-৭৬৯.৪৫) বা ( -৩.১৪% ) পয়েন্ট নিচে বন্ধ হয়।
এই সপ্তাহে বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকার সম্ভাবনা কম। ভারত চিন সীমান্ত উত্তেজনা কিছুটা হলেও বাজারকে অস্বস্তিতে রাখবে। এই মুহূর্তে আপাতত ব্যাঙ্কিং শেয়ার থেকে দূরে থাকুন।

আমরা আপাততএকটি লংটার্ম শেয়ার সুপারিশ করছি। আপনাদের সুবিধার্থে কোম্পানিটির প্রোফাইল ও দেওয়া হলো।

DEEPAK NITRATE

CMP( Current market price ) Rs.683/- , Up side potential ৬০% ,TGT ( Target Price ) Rs.1090/-
TIME HORIZEN : 2YRS.

The company deals with :

  1. Basic chemicals agro Chemicals
  2. Fuel chemicals
  3. Textiles, Papers

New company acquisition: PHENOLICS: efficient phenol and acetone plant.
• Market leader in Nitrate and other chemicals
•Export 30 + countries
•Diversified products:

Key customers are: HINDUSTAN UNILIVER, BAYER, and RELIANCE INDUSTRIES.
•Chemicals contribute 7% of worlds entire GDP.
•Industries preferring India over China: demand in India is rising due to rising consumption in all end user Industry.
•Chemical industry is forecasted
at CAGR growth if 9% by 24-25*
•Attracting FDI

Competitor: Tata chemical, Vinati, alkyl amines

Advantage:
•Diversified products
•New product: phenol and acetone.
•Custom manufacturing expertise
•Care for nature

Growth prospect:
•Huge demand of phenolics
•Investment in r&d
•Largest exporter
•Over delivery
•Increased their product portfolio
•No competitor in the market

Numbers :
•Revenue up by 8%
•Ebitda up by 67%
•PAT up by 106%
•REO : 38.87%
Profit is almost double from last quarter.*

Dipak nitrate is trading at discount, its a still undervalued mid cap stock with extreme upward potential.

(Share market investment are subject to market risk. Please invest carefully before investing.)

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version