কলকাতা ব্যুরো: বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের ডাকে কলেজ স্ট্রিটে বিশাল সমাবেশ। মূলত জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিলের দাবিতেই এই সমাবেশ। গোটা দেশ ঘুরে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের ‘জাঠা’ শেষ হয়েছে কলকাতায়। কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতির প্রতিবাদে দেশব্যাপী এই জাঠার আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু, কলকাতায় প্রবেশের পরেই জাঠার প্রতিবাদের তীব্রতা যেন আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। আনিস খান ইস্যু থেকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, সবকিছুর প্রতিবাদেই সরব হয়ে কলকাতার রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল বাংলার বাম ছাত্র-যুবদের।

শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতার নানা প্রান্ত প্রান্ত থেকে মিছিল এসে মিলতে শুরু করে কলেজ স্ট্রিটে। এদিন মিছিল যেমন আসে শিয়ালদহ-হাওড়া থেকে। ঠিক তেমনই মিছিল আসে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে। এদিকে ২৯ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মেয়ো রোডে বিশাল সমাবেশ করেছিল ঘাসফুল শিবির। যেথানে উপস্থিত ছিলেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাল্টা দিতেই এদিন কলেজ স্ট্রিটে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে বামেরা। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

এদিনের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে এসএফআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তথা বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিরকুটে চাকরির অভিযোগের জবাব দিলেন। বিমানবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বামফ্রন্ট আমলে চিরকুট দিয়ে চাকরি হত। নাহ। কখনও এই জিনিস বাম আমলে হয়নি। চিরকুটে চাকরি হতো ’৭৩ সালে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের আমলে। সেই সময়ে সিগারেটের প্যাকেটে নাম সুপারিশ করে চাকরি দেওয়া হত। বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা আরও বলেন, মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের বিষয় সুনিশ্চিত করতে গিয়ে দলের মধ্যে তথা বামপন্থীদের মধ্যেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল সরকারকে।

পাশাপাশি এদিন পার্থ-অর্পিতা, অনুব্রত প্রসঙ্গ তুলেও রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেন বিমান। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, আমার ৮৩ বছর বয়স হল, এত টাকা একসঙ্গে এর আগে আমি দেখিনি! তাঁর কথায়, যাঁর মাথায় অক্সিজেন কম যায় তাঁর কত সম্পত্তি সব বেরোচ্ছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version