কলকাতা ব্যুরো: রাজ্যে বেসরকারি স্কুলগুলির লকডাউনের মধ্যে ২০ শতাংশ বেতন কম করার হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখলো সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের ওই রায় চ্যালেঞ্জ করে কয়েকটি বেসরকারি স্কুল সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে সব পক্ষই তাদের বক্তব্য জানায়। যদিও শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, হাইকোর্ট অভিভাবকদের এই লকডাউন এর মধ্যে ২০ শতাংশ বেতন কম নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল, স্কুলগুলোকে সেই নির্দেশ বহাল থাকছে। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, মহামারী আবহে এটা একটা অতি ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে গোটা বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট বিচার করছে। তাই মূল বেতন ও অন্যান্য ছাড়ের যে নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছে, তাতে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না।

সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখায় যথেষ্ট স্বস্তিতে অভিভাবকরা। কেননা হাইকোর্ট তার রায় শুধু বেতনের ২০ শতাংশ ছাড়ের নির্দেশ দেইনি, একই সঙ্গে গত সাত মাস ধরে স্কুল গুলি বন্ধ থাকায় স্কুলের গাড়ি, কম্পিউটার, ইলেকট্রিসিটি বিল, সায়েন্স ল্যাবরেটরির- এমন যেসব ক্ষেত্রে সার্ভিস দেওয়া হয়নি, সেগুলির চার্জ নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল হাইকোর্ট। ফলে এখন আর স্কুলগুলির ওই নির্দেশ না মেনে কোন উপায় নেই বলে মনে করছেন অভিভাবকরা।

যদিও সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের গড়া কমিটির কাজকর্ম এখন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এর আগে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, এই ছাড় দেওয়ার পরেও যদি কোন অভিভাবকের আর্থিক সংকট বেশি থাকে এবং সে ক্ষেত্রে তিনি যদি আরও ছাড়ের সুবিধা চান সে ক্ষেত্রে প্রথমে তিনি সংশ্লিষ্ট স্কুলের কাছে আবেদন করবেন। যদি স্কুল সেই আবেদনে সাড়া না দেয়, সে ক্ষেত্রে একটি স্কুলের অধ্যক্ষ এবং এক বর্ষিয়ান আইনজীবী সহ মোট তিন জনের একটি কমিটি গড়ে দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বক্তব্য ছিল, স্কুল আরো ছাড়ের ক্ষেত্রে আবেদনের পর সাড়া না দিলে, তখন ওই কমিটির কাছে আবেদন করতে পারবেন অভিভাবকরা।

যদিও এদিন সুপ্রিম কোর্ট অতিরিক্ত ছাড়ের গোটা অংশটি স্থগিত করেছে। অর্থাৎ যদি এই ছাড় গুলি পাওয়ার পর কোন অভিভাবক আরও ছাড়ের জন্য স্কুলের কাছে আবেদন করতে চান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তা করার আর সুযোগ থাকলো না।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version