ইন্দ্রনীল বসু

একসময় বহু ভারতীয়র হার্ট থ্রব। আজ সবার মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেন। জ্যাকি শ্রফ থেকে বিদ্যা বালন সবাই তার আশীর্বাদ নেন ফিল্মফেযার এয়ার্ড আসরে। সময়ের নিয়ম। বয়স সবাইকে পাল্টে দেয়। ব্যাতিক্রম নন রেখাও। কি করে সময় কাটান এখন। অনেক শখ আছে। বাগান করা, ঘর সাজানো, ছবি আঁকা। সময় কেটে যায় তার। ছবি বড় একটা আসে না। তাই এবার তাকে দেখা যাবে টিভির পর্দায়।

১৯৮৬ সাল। বিবিসি কে এক সাক্ষাৎকার দেন রেখা। সেখানেই মানুষের তার সম্পর্কে যে মিথ গুলো ছিল তা উরিয়ে দিয়েছিলেন। তবু মানুষ সেই সব মিথগুলো নিয়েই বাঁচতে চায়। সাংবাদিকরা মানুষের সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি দেবার জন্য হয়তো বাঁচিয়ে রাখেন মিথগুলো। জানলে অবাক হতে হয়। কোনোদিনই রেখা সিনেমায় আসতে চাননি। মা এর শখ ছিলো মেয়ে সিনেমা করুক। তাই এসেছেন এই গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড-এ। এমনকি হিরোইন হবার পর প্রথম চার – পাঁচ বছর তিনি সিনেমার ব্যাপারে কোনো উৎসাহই পেতেন না। কিন্তু মা পেছনে লেগেই ছিলেন। বোধহয় ১৯৭৪ সালের পর তার ছবিতে উৎসাহ আসে। “দো অঞ্জানে” অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে করার পর নাকি ছবিতে উৎসাহ আসে । অবশ্য এই কথা নিন্দুকেরা বলেন। রেখা নিজের মুখে স্বীকার করেন নি কখনো।

নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। রেখা – অমিতাভের অনেক ছবি। মুকাদ্দার কা সিকান্দার, সুহাগ, মিস্টার নটবরলাল, একের পর এক ছবি করে গেছেন রেখা। ১৯৮১ সালে রিলিজ হয় সিলসিলা। সুপারহিট। যশরাজ ব্যানারে। তারপর বোধহয় আর সে ভাবে সিনেমা করা হয়ে ওঠেনি অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে। রেখা নিজেই বলেছেন ওটা ছিলো রিয়াল লাইফ স্টোরি। জয়া শোনা যায় বেঁকে বসেছিলেন। অবশ্য পরে বিনোদ মেহেরার সঙ্গে ” ঘর ” ছবিটি হিট হয়। অন্য ইনিংস শুরু করেন রেখা। জাতীয় পুরস্কার পান “উমরাও জান” ছবির জন্য। সব মিলিয়ে তার ঝুলিতে ৪০০ -র বেশি ছবি। সবথেকে শ্রদ্ধা করেন পরিচালক হিসাবে রাজ কাপুরকে। কারণ ? অনেক নতুন মেয়েদের সুযোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী হবার।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version