কলকাতা ব্যুরো: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আবহে রাজ্যের দুই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এমন পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের কথা ভেবে ভোট পিছনোর দাবি উঠেছে। রাজ্যের তরফেও এই আবেদন জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তবে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই বলেই কমিশন সূত্রে খবর। এদিকে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়েই ইউপিএসসি পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু উপনির্বাচনের আবহে সেই পরীক্ষাও বর্তমানে বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে বলেই ধারনা অনেকের।

১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এদিকে ২ এপ্রিল থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ১১ এবং ১৩ এপ্রিলও রয়েছে পরীক্ষা। ফলে মাঝে ১২ তারিখ ভোট হলে সমস্যা হবে কারণ স্কুলে-স্কুলে ভোট কেন্দ্র হয়। তাই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হচ্ছে।

সোমবার সর্বদলীয় বৈঠকে ছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দেবাশিস কুমার। তিনি বৈঠকে ভোট পিছনোর আর্জি জানান। রাজ্যের তরফেও চিঠি দেওয়া হবে বলে খবর। তবে ভোট পিছনোর কোনও পরিকল্পনা কমিশনের নেই বলে সূত্রের খবর কারণ, একই দিনে আরও তিন রাজ্যে ভোটের দিন ধার্য হয়েছে। একইদিনে ভোটের আবহে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা মেটানো নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছে উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের আধিকারিকরাও।

আগামী ১২ এপ্রিল এই দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ফলপ্রকাশ ১৬ এপ্রিল। এছাড়া ১২ তারিখ উপনির্বাচন হবে  ছত্তিশগড়, বিহার, মহারাষ্ট্রের মোট তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে। এই সমস্ত জায়গায় শনিবার থেকেই লাগু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি।

বালিগঞ্জ আসনে বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর আসনে বসেন তিনি। কিন্তু ২০২১এর নভেম্বরে মৃত্যু হয় তাঁর। ফলে বালিগঞ্জ আসনটি আপাতত বিধায়ক শূন্য। সেখানেই নতুন করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে ১২ তারিখ ফের ভোটের লাইনে দাঁড়াবেন বালিগঞ্জবাসী। ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র সমর্থনে দেওয়াল লিখনের কাজ চলছে জোরকদমে।

পাশাপাশি রাজ্য রাজনীতিতে নয়া চমক দিয়ে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে শত্রুঘ্ন সিনহার নাম ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোলের উপ নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছে ‘বিহারীবাবু’কে। তাঁর সমর্থনেও শুরু হয়েছে দেওয়াল লিখনের কাজ। শত্রুঘ্ন জানিয়েছেন, তাঁর প্রচারে আসছেন কন্যা তথা বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। ফলে প্রচার পর্বে যে ঝড় উঠবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর আসানসোলে সাংসদ পদ ছেড়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর জায়গায় উপনির্বাচনে পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতাকে প্রার্থী করেছে জোড়াফুল শিবির। শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, যেভাবে সম্মান দিয়ে মমতা আমার নাম ঘোষণা করেছেন, সেখানে না করার কোনও প্রশ্নই নেই। বাংলার ভাষা, সংস্কৃতি, আমার খুবই পছন্দের। আমি অনেক বাংলা সিনেমা করেছি। প্রথম থেকেই বাংলার সঙ্গে আমার যোগাযোগ, আসা যাওয়া। আসানসোলে বাংলার অনেক লোকজন তো রয়েছেনই। সেইসঙ্গে পুরো ভারতবর্ষের মানুষ ওখানে থাকেন। 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version