কলকাতা ব্যুরো: হাওড়ার সাঁকরাইলের কাছে লাইনচ্যুত পণ্যবাহী ট্রেন। রবিবার বিকেলের ঘটনায় রেলের দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত রেল চলাচল। বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন। বাতিলও হয়েছে বেশ কিছু ট্রেন। যার জেরে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে কমিটি তৈরি করেছে রেল।

রেল সূত্রে খবর, রবিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ অসমের আজারা থেকে ভাস্কো-দা-গামা গামী পণ্যবাহী এক্সপ্রেস ট্রেন সাঁকরাইলের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনটি বগি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। এর ফলে আপ, ডাউন ও মিডল – তিনটি লাইন বন্ধ হয়ে যায়। ভাস্কো-দা-গামাগামী পার্সেল এক্সপ্রেসের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ায় হাওড়া-খড়গপুরের রবিবার বিকেলের পর বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল।

আপে হাওড়া-টাটা, হাওড়া-আদ্রা, হাওড়া-তিরুপতি, হাওড়া-পুরুলিয়া এক্সপ্রেস, হাওড়া-আমতা ট্রেনগুলি আটকে পড়ে। এদিকে ডাউনে পাঁশকুড়া, হলদিয়া, মেদিনীপুর লোকাল আটকে থাকে মাঝপথে। হাওড়া, টিকিয়াপাড়া থেকে রেলকর্মীরা গিয়ে লাইনচ্যুত পার্সেল ট্রেনের বগিগুলি লাইনে তোলার কাজ শুরু করলেও বগিগুলো লোড থাকায় তুলতে বেগ পেতে হয়। হাওড়া ছেড়েই দাঁড়িয়ে পড়ে দূরপাল্লার কয়েকটি ট্রেন। বাড়ি ফেরত মানুষজন হাওড়া এসে আটকে পড়েন দীর্ঘক্ষণ। ক্ষোভ উগরে দেন আটকে পড়া রেলযাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, স্টেশনে দীর্ঘক্ষণ কোনও ঘোষণা না হওয়ার ফলে তাঁরা প্রকৃত কারণ জানতে পারেননি।

জানা গিয়েছে, রাত পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েন যাত্রীরা। অভিযোগ, তুলনামূলকভাবে ট্রেন কম ওই শাখায়। তার উপর এই বিঘ্ন গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো হয়ে উঠেছে এদিন। দক্ষিণ পূর্ব রেল জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে কমিটি তৈরি হয়েছে। তারাই খতিয়ে দেখবে লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ। বহন ক্ষমতার তুলনায় বাড়তি পণ্য বোঝাই করা হয়েছিল কি না, তা দেখা হবে। সাধারণত পার্সেলে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই করে পাঠানোর বেআইনি রেওয়াজ রয়েছে বলেই তাঁরা জানান।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version