মৈনাক শর্মা

পৃথিবীর সাত ভাগ জল ও একভাগ স্থল। এই সাত ভাগের মধ্যে রয়েছে ৪ টি মহাসাগর। তবে এইবার বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতেই আবিষ্কার হলো পঞ্চম মহাসাগর। নাম দক্ষিণ মহাসাগর। পাঁচটি মহাসাগরের আকারের তুলনার তালিকায় এটি চতুর্থ, যা চিহ্নিত করে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি। ১৩০ বছর ধরে গবেষণার পরই স্বীকৃতি দেওয়া হয় পঞ্চম মহাসাগরের।

অ্যান্টার্কটিকা মহাসাগরের থেকে ৬০ ডিগ্রী অক্ষাংশে দক্ষিণ মহাসাগরের অবস্থান। এই মহাসাগর প্রশান্ত, আটলান্টিক ও ভারত মহাসাগরকে স্পর্শ করেছে। তবে বাকী চারটি মহাসাগরের সাথে রয়েছে পার্থক্য। কারণ প্রশান্ত আটলান্টিক, ভারত ও আর্কটিক মহাসাগর দেশ বা মহাদেশ অনুসারে আবিষ্কৃত। অন্য দিকে বৈজ্ঞানিকদের গবেষণায় উঠে আসা বিরল আবহাওয়া ও বিরল প্রকারের সমুদ্রস্রোত অনুযায়ী আবিষ্কৃত দক্ষিণ মহাসাগর। এই বিরল প্রকারের সামুদ্রিক স্রোতের নাম অ্যান্টার্কটিক সার্কাম্পলার কারেন্ট। যা ঘড়ির কাটা অনুযায়ী ঘোরে। বৈজ্ঞানিকদের মতে অ্যান্টার্কটিকা দক্ষিণ অ্যামেরিকা মহাদেশ থেকে ভাগ হয়ে ৩৪ মিলিয়ন বছর আগে তৈরী হয়েছে এই সমূদ স্রোত।

National geographic society র ভূ বিজ্ঞানী আলেক্স টাইট জানান, বহু দিন আগেই আবিষ্কৃত হলেও আন্তরজাতিক ভাবে চুক্তি না হওয়ায় দক্ষিণ মহাসাগরকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। ২০০০ সালে প্রথবার এই মহাসাগরকে খুঁজে বের করা হয়। যা এখন একটি সাধারণ জ্ঞানের নতুন প্রশ্ন।

নতুন এই জলরাশি দক্ষিণ মহাসাগর আবিষ্কার হবার সাথেই বাড়াচ্ছে নতুন দুশ্চিন্তা। পৃথিবীর ভূখণ্ডে ৭১ শতাংশই জল। বৈজ্ঞানিকদের মতে বাড়তে থাকা উষ্ণতার জন্য কুমেরু বৃত্তে গলছে বরফ পিন্ড। যার ফলে সৃষ্টি হয় এই নতুন জলরাশির। যা প্রশ্নের মুখে ফেলেছ প্যারিস পরিবেশ চুক্ত সাক্ষর করা দেশ গুলিকে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version