কলকাতা ব্যুরো : দুবাইয়ে যে রকম হাড্ডাহাড্ডি আইপিএল চলছে, বিহারেও সে রকমই এখনও লড়াই চালাচ্ছে মহাগাটবন্ধন। আর একেবারে শেষ বলে ওয়ান ডে ক্রিকেটের শেষ বলে জয়ের মতোই, বিহারেও শেষ হাসি কে হাসবে, ভোট বোদ্ধাদের সমীক্ষা ধরাশায়ী হওয়ার পর, আর এখন তা নিয়ে কেউ আগাম মন্তব্য করছেন না।

রাত আটটাতেও ফাইট সমানে সমানে। এখনও বিহারের সিংহাসনে কোন জোট ক্ষমতায় আসবে তা বলার সময় আসেনি। কিন্তু পাটনা বা বিহারের অন্যান্য অঞ্চলে জশন শুরু হয়ে গেছে। লাড্ডু বিলি হচ্ছে। মিষ্টি মুখ চলছে বিজেপি অফিসের সামনে। এগিয়ে থাকার নিরিখে বিচার করলে এনডিএ হয়তো বিহারে ক্ষমতায় আস্তে চলেছে। নিঃসন্দেহে বি জে পির পক্ষে একটা বড়ো পাওনা। বি জে পি থেকে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে এন ডি এর মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ হতে চলেছে। কিন্তু নীতিশ তথা জেডিউর ঝুলিতে সর্বসাকুল্যে মাত্র ৪২ টি আসন। অন্যদিকে জোটসঙ্গী বিজেপি এগিয়ে ৭৭ টিতে।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে কম আসন পাওয়া দল থেকে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া কতটা বাঞ্ছনীয়। সত্যিই কি মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন নীতিশ! জেপি নাড্ডা বিহারবাসীকে সন্ধায় সম্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু তিনি এখনও সেখানে আসেননি। কর্মকর্তা যারা এসেছিলেন তারাও ফিরে যাচ্ছেন। জেপি নাড্ডা এখনও কি জয় নিয়ে সুনিশ্চিত নন। নাকি, বিজেপির অন্দরে নিতিশকে মাত্র ৪২ সিট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে কি না, সে নিয়ে আলোচনা চলছে। বলা কঠিন। নীতিশ কি মুখ্যমন্ত্রীর নিতে চাইবেন? সে নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে বিহারের অন্দরে। চলছে বিহারী রসিকতাও।

এদিকে গাটবন্ধন পিছিয়ে থাকলেও বিহারের রাজনীতিতে লালুপূত্র কিন্তু ম্যাজিক দেখিয়ে দিলেন। তাকে শুধু বিহারের মুখ্যমন্ত্রী আর ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে লড়াই করতে হয় নি, লড়াই ছিল অগণিত এক্সিট পোলের বিরুদ্ধেও। যাদের কেউ কেউ বড় মার্জিনে এগিয়ে রেখেছিল এনডিএকে। লালুপুত্র এদের সবাই এর সঙ্গে লড়াই করে আরজেডিকে সবথেকে বড় দল তৈ রির জন্য লড়ে যাচ্ছেন বিহারে। আরজেডির আসন সংখ্যা এগিয়ে থাকার ভিত্তিতে ৭৮ বি জে পি র থেকেই বেশি। একটা কথা খুব স্পষ্ট, এই বার বিহারে অ্যান্টি ইনকাম্বেন্সি কাজ করেছে। বর্তমান ভোটের ট্রেন্ড তার প্রমাণ। কে সরকার গড়বে, কে মুখ্যমন্ত্রী হবে তা জানতে আজ মাঝরাত বা কাল সন্ধ্যা হয়ে যাবে। তবে এই সব ট্রেন্ডের ওপর ভিত্তি করেই আলোচনা চলছে বিহারে। জয়ের ফারাক খুবই কম। ফল উল্টে গেলেও যেতে পারে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version