কলকাতা ব্যুরো: নিখিল জৈন এবং নুসরত জাহানের বিয়ে আইনত বৈধ নয়। বুধবার এমনই রায় দিলো আলিপুর আদালত। মঙ্গলবার এই মামলার রায়দান প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, আর বুধবার আলিপুর আদালতের তরফে এই নির্দেশনামা দুই পক্ষের আইনজীবীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

দীর্ঘ টানাপোড়েন, তর্ক-বিতর্কে অবশেষে ইতি পড়লো। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই নুসরতের সঙ্গে সবরকম সম্পর্ক শেষ করতে চেয়ে কোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন নিখিল জৈন। ‘অ্যানালমেন্ট অফ ম্যারেজ’ নিয়ে নিখিল জৈনের করা মামলায় আদালত রায় দিয়েছে নিখিলের পক্ষেই। নিখিলের আইনজীবী সত্যব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘বিচারপতি আমার মক্কেলের পক্ষে রায় দিয়েছেন’। 

উল্লেখ্য, বুধবার নিখিল জৈনের জন্মদিনও বটে। আদালতের এই রায় সম্পর্কে নিখিল জানিয়েছেন, ‘জন্মদিনে এটাই সেরা উপহার’। ২০১৯ সালের ১৯ই জুন নিখিল জৈনের সঙ্গে তুরস্কের বোদরুমে রূপকথার ‘বিয়ে’ সেরেছিলেন নুসরত জাহান। এরপর জুন মাসে কলকাতায় বসেছিল তাঁদের বৌভাতের অনুষ্ঠান। সেই বিয়েকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে দিল আদালত। 

নুসরত মা হতে চলেছেন, মাস কয়েক আগে এমন গুঞ্জন প্রকাশ্যে আসবার সময়ই নিখিল স্পষ্ট করেছিলেন বিচ্ছেদ চেয়ে আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। এর সঙ্গে নুসরতের অনাগত সন্তানের কোনও ভূমিকা নেই। নিখিল স্পষ্ট বলেন, ‘যে দিন বুঝেছিলাম ও আমার সঙ্গে নয়, অন্য কারুর সঙ্গে থাকতে চায় সেই দিনই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি’। 

উল্লেখ্য, তুরস্কে বিয়ের পর্ব সারলেও নুসরত-নিখিলের এই বিয়ে স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় রেজিস্টার করা হয়নি এদেশে। সেই কারণেই এই বিয়ের আইনি বৈধতা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ছিল। নুসরত-নিখিল দুজন ভিন্ন ধর্মের মানুষ হওয়ায়, তাঁদের বিয়ের আইনি স্বীকৃতির জন্য ওই বিশেষ আইনের আওতায় বিয়ে রেজিস্টার হওয়াটা জরুরি।

পাশাপাশি দুজনের কোনও পক্ষই বিয়ে টিকিয়ে রাখতে আগ্রহ দেখায়নি। তাই কেবলমাত্র দুজনের বক্তব্যের ভিত্তিতেই এই বিয়ে খারিজ করল আদালত। অতিরিক্ত কোনও তথ্য-প্রমাণ এক্ষেত্রে বিচার্য ছিল না। আদালতেও পরস্পরের মুখোমুখি হননি নুসরত-নিখিল। 

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version