কলকাতা ব্যুরো: রবিবার সকাল প্রায় সাতটা নাগাদ হঠাৎ হাসপাতাল সুপারের ঘরের মধ্যে প্রবল গোলমাল দুই ব্যক্তির। চলছে তর্কাতর্কি। খিস্তি খেউরও চলছে। ঘরে সুপার নেই। পঞ্চসায়র নেতাজি সুভাষ চন্দ্র ক্যান্সার হাসপাতালের অন্য কর্মীরা উঁকিঝুঁকি দিয়ে বুঝলেন তাঁদেরই সহকর্মী রঞ্জিত কোনারের সঙ্গে গোলমাল চলছে এক আপাত অচেনা মধ্য বয়সীর। সবাই কিছু বুঝে ওঠার আগেই চিৎকার করে উঠলেন বছর ৪৫ এর রঞ্জিত। কপাল, গাল বেয়ে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে।

বেগতিক বুঝে এবার সেখান থেকে কেটে পড়ার চেষ্টা করলেন সেই আগন্তুক। এবার তাঁকে আটক করলেন সেখানকার কর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীরা। আর তাঁর হাত থেকে কেউ কেড়ে নিল একটা ক্ষুর। ডাকা হলো পুলিশ। অভিযুক্তকে তুলে দেওয়া হলো তাদের হাতে।

প্রাথমিকভাবে হাসপাতালেই রহস্য ফাঁস হলো। আপাত অচেনা ব্যাক্তি লক্ষন মণ্ডল তাদেরই এক সহকর্মীর স্বামী। সেখানে কর্মরত রঞ্জিতের সঙ্গে স্ত্রী-র সম্পর্ক নিয়ে অনেক দিন ধরেই বাড়িতে বিবাদ চলছিল লক্ষণের। অনেক বার সতর্ক করার পরেও ঘর সামলাতে না পেরে এবার বার সামলানোর চেষ্টা করেন লক্ষণ। ভোর বেলায় হাসপাতালে গিয়েই তাঁর ভাগিদারকে সবক শেখানোর প্ল্যানে বসেন তিনি।

আর সেই প্ল্যানমাফিক এদিন ভোরে যাওয়ার সময় আর একটু কড়া ডোজ দেওয়ার জন্য সঙ্গে নিয়ে যান একটি ক্ষুরও। তর্কাতর্কি, শাসানোর পরেও কাজ না হওয়ায় পকেট থেকে লক্ষণ বের করেন ক্ষুর। আর তারপরেই বউ বাঁচাতে ক্ষুর চালিয়ে এখন হাজতবাস।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version