কলকাতা ব্যুরো: শাশুড়িরা সতর্ক থাকুন।
মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারের অভিযোগ। এর আর নতুন কি? কিন্তু এর প্রতিশোধ নিতে সেই শাশুড়িকে পিটিয়ে, গলা টিপে মেরে কুমড়োর সঙ্গে দেহ পাচার করার চেষ্টা যদি হয়! এটাই বাস্তবে ঘটেছে।
শুক্রবার ভোরে বাসন্তী হাইওয়ের পশ্চিম চৌবাগায় গাড়িতে নজরদারি চালাচ্ছিল প্রগতি ময়দান থানা। সে সময় একটি হলুদ ট্যাক্সিকে দাঁড় করায় পুলিশ। ট্যাক্সি চালক জানান, কুমড়ো বিক্রি করতে যাচ্ছেন। পুলিশের কোনো কারণে সন্দেহ হওয়ায় গাড়ির ডিকি খোলা হয়।
চমকে ওঠে পুলিশ। বেশ কিছু কুমড়ো, কুমড়ো শাক বোঝাই থাকলেও তার মধ্যে দিয়ে রক্তাক্ত মাথা উঁকি দিচ্ছে। এবার পুলিশ, গাড়িতে থাকা এক মহিলা সহ এক যুবককে আটক করে। একটু জেরা করতেই মুখ খোলেন মহিলা।
মৃত মহিলা সুজামনি গায়েন (৬০) কবরডাঙ্গা, হরিদেবপুরের বাসিন্দা। তিনি অভিযুক্ত এই মহিলা মলিনা মন্ডলের বড় মেয়ের শাশুড়ি। তাঁর মেয়েকে শ্বশুর বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করায় রাগে ভাই অজয় রং ও স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এই কাজ করেছেন বলে মলিনা জানান পুলিশকে।
হরিদেবপুরে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে নিত্য অশান্তি হওয়ায় কয়দিন আগে তাঁর শাশুড়িকে আরূপোতায় নিজেদের বাড়িতে মলিনারা ডাকেন বিষয়টি মিটমাট করার জন্য। বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়ার পর ঘুমের মধ্যেই তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। দেহ অন্য কোথাও ফেলে লোপাট করার জন্যই ভোর রাতে ট্যাক্সিতে নিয়ে বেরিয়ে ছিল বলে স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূকে অত্যাচার বা খুনের অভিযোগ গা সওয়া। কিন্তু সেই অভিযোগে পাল্টা শাশুড়িকে খুন! না, মনে করতে পারছেন বর্ষীয়ান পুলিশ অফিসাররাও।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version