কলকাতা ব্যুরো: বাংলায় যে এবার বিজেপিই সরকার গড়বে সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্তত তাঁর বক্তব্যে তেমনই দাবি। আর সেই প্রত্যাশাতেই এখন থেকেই রাজ্য সরকরারি কর্মীদের কাজ শুরু করার ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজনৈতিক মহলের মতে, দেশের প্রধানমন্ত্রী আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে সরকারি কর্মীদের তাদের সরকারের আমল ধরে নিয়ে কাজ শুরু করতে বলার অর্থ, বিরোধীদের চাপ বাড়িয়ে দেওয়া। এটা রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। শনিবার হুগলির হরিপালে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সেখানেই তিনি বলেন, বিজেপি সরকারে আসার পরে সবার আগে কৃষকদের সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এই সভাতে মোদী জানান, তিনি চান ‘প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি’ প্রকল্পের টাকা রাজ্যের যে কৃষকরা এখনও পাননি, সেই বাবদ সেই ১৮ হাজার করে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে প্রত্যেকেই। এর পরেই তিনি যেখানে যেখানে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে, সেই সব জায়গায় সরকারি কর্মীদের কাজ শুরু করার ডাক দেন। সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গত ১০ বছরে যা ক্ষতি হবার তা হয়েছে। এ বার বাংলার মানুষের সেবা করার সুযোগ এসে গিয়েছে। যে সব জায়গায় ভোট হয়ে গিয়েছে সেই সব জায়গায় কৃষকদের তালিকা বানানো শুরু করে দিন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আধার নম্বর মিলিয়ে দেখে নিন। যাতে সরকার সিদ্ধান্ত নিলেই টাকা জমার কাজ শুরু হয়ে যেতে পারে।

গত শুক্রবার ২ এপ্রিল রাজ্যে প্রচারে এসে অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, প্রথম দুই দফায় ভোটগ্রহণ হওয়া ৬০ আসনের মধ্যে ৫০টিতে জয় পাবে বিজেপি। অমিতের বক্তব্যে যে প্রত্যয় দেখা গিয়েছিল তা-ও যেন শনিবার ছাপিয়ে গেলেন মোদী। এদিন মোদী বলেন যে ২ মে ভোটের ফলাফল কেমন হবে তা নন্দীগ্রামেই দেখা গিয়েছে ২ দিন আগে।
ভোট গ্রহণ নিয়ে তৃণমূলের বার বার নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙ্গুল তোলাকে কটাক্ষ করতে গিয়ে মোদী ক্রিকেটের সাথে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ক্রিকেটে কোনও খেলোয়াড় বার বার আম্পায়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে বুঝতে হবে, তাঁর খেলায় খুঁত আছে। তিনি এও বলেন, নির্বাচনে কেউ কখনও ইভিএমকে গালি দিলে, কখনও কমিশনকে গালি দিলে, বুঝতে হবে তার খেলা শেষ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version