কলকাতা ব্যুরো: বাংলা এবং অসম – দুই রাজ্যেই দ্বিতীয় দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে ইতিমধ্যেই। তৃতীয় দফার ভোটের আগে অসমে প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ ঘোষণা করে দিলেন প্রথম দু’দফার ভোটেই তাদের অসম বিজয় সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। রবিবার অসমের বরপেটায় সভা করতে গিয়ে তিনি বলেন যে বিজেপি ইতিমধ্যেই অসমে সরকার গঠন করার মত সংখ্যাগরিষ্ঠতা ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। ওই সভাতেই তিনি এও বলেন যে বাংলায় ‘দিদি যাচ্ছেন, বিজেপি আসছে’। ২০০ এরও বেশী আসন দখল করে বিজেপি বাংলায় সরকার গঠনের দাবি রাখছেন শাহ। মোদি যেমন এ রাজ্যে ক্ষমতায় এলেই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে যোজনার টাকা ঢুকিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন একের পর এক সভায়, তেমন অসমে বন্ধ প্রকল্প খোলার টোপ দিচ্ছেন শাহ।
এদিন সভায় আমিত ঘোষণা করেন যে বন্ধ হয়ে যাওয়া কাছাড় ও জাগি রোড কাগজকল আবার খোলা হবে এবং সেই সাথে খোলা হবে সার কারখানা এবং বাঁশ দিয়ে কাগজ তৈরি করে গোটা দেশে সরবরাহ করা হবে বলেও জানালেন অমিত শাহ। অসমের কাছাড় ও জাগি রোড কাগজকল বন্ধ। সরকারের বিস্তর প্রতিশ্রুতির পরেও তা নিলাম হতে চলেছে। বিজেপির ইস্তাহারে জাগি রোডের কাগজকলের পুনরুজ্জীবনের প্রয়াসের কথা বলা হলেও কাছাড়ের ব্যাপারে কোনও উল্লেখই ছিল না।
অমিত শাহ দাবি করেছেন যে আন্দোলন ও সন্ত্রাসবাদমুক্ত অসম গড়ে তুলে বিজেপি তাদের কথা রেখেছে। বড়ো ও কার্বি জঙ্গিদের সঙ্গে শান্তিচুক্তি সম্পন্ন। এ বার অসমকে বন্যামুক্ত করার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে গেরুয়া শিবির। গুয়াহাটিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্টার্ট-আপ রাজধানী করার কথাও বলেছেন শাহ। সরভোগে আমুলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দুধের চিলিং প্ল্যান্ট গড়া হবে। সরভোগে গোরক্ষকদের ঐতিহ্যরক্ষায় গো

রখিয়া গোঁসাই থানকে পর্যটনকেন্দ্র করে তোলা হবে।
২০২১ ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে কংগ্ৰেস ও ইউডিএফ জোটবদ্ধ হয়েছিল। এই বিষয়ে আমিত শাহ মন্তব্য করেছেন যে অসমের উন্নতি করার কোনও উদ্দেশ্য নেই এই জোটের। তিনি এও বলেন যে কংগ্রেস বিভাজন ও ঝগড়ার রাজনীতি করে। রাজনৈতিক পর্যটকের মতো রাহুল গাঁধীও বেড়াতে আসেন অসমে। তাঁর পক্ষে এ সব করা বা ভাবা সম্ভব নয়। কংগ্রেস জিতলে চোরাশিকারিদের দৌরাত্ম্যে গন্ডারের সংখ্যা আরও কমতে থাকবে। সত্রের জমি ফের বেহাত হয়ে যাবে।


বরপেটার পর আমিতের সভা করার কথা ছিল বজালি ও শুয়ালকুচিতে। কিন্তু ছত্তিশগড়ের মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে তিনি বরপেটা থেকেই ফিরেযান দিল্লির উদ্দেশ্যে। ওই হামলায় মৃত জওয়ানদের মধ্যে দুজন ছিলেন অসমের বাসিন্দা – গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা বাবলু রাভা ও বজালির দিলীপকুমার দাস। শাহ তাঁদের মৃত্যুতে পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন ‘জওয়ানদের রক্তপাত বিফল হবে না’।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version