কলকাতা ব্যুরো: কাবুল বিমানবন্দরে জঙ্গি হামলার জবাব দিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। এরপরেই পাল্টা আঘাত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেছিল গোয়েন্দাদের একাংশ। এবার কাবুল বিমানবন্দরে ফের হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শনিবার তিনি জানান, পরবর্তী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।

তিনি আরও জানান, ৩১ আগস্ট চুক্তি মোতাবেক আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধারকাজ শেষ হচ্ছে। এরপরেই আফগানিস্তান থেকে সেনা সরিয়ে নেবে আমেরিকা। তার আগেই বিমানবন্দরে ফের হামলা হতে পারে, আশঙ্কা বাইডেনের।

এদিকে এই আশঙ্কার ভিত্তিতে এদিন ভোরবেলা আমেরিকার সুরক্ষা সেলের তরফে মার্কিন নাগরিকদের জানানো হয়, অবিলম্বে তাঁরা যেন কাবুল বিমানবন্দরের আশেপাশের এলাকা ছেড়ে চলে যান। আমেরিকার তরফে মার্কিন নাগরিকদের স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে তাঁরা যেন কোনওভাবেই বিমানবন্দরে যাতায়াত না করে এবং কাবুল বিমানবন্দরের কোনও দরজার আশেপাশে না অবস্থান করে।

জাতীয় সুরক্ষা দল-এর সঙ্গে বৈঠকের পর একটি বিবৃতিতে বাইডেন জানান, শুক্রবার ইসলামিক স্টেট খোরাসানের বিরুদ্ধে হওয়া হামলা শেষ হামলা নয়। তাঁর কথায়, ‘কাবুল বিমানবন্দরের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ এবং সেখানে আরও একটি জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা রয়েছে। আর আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এই হামলা হতে পারে।’

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭৮ জনের। এই ঘটনায় প্রাণ হারান ১৩ জন মার্কিন সেনাও। কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২০০ জনের। এই ঘটনার পরেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ‘আমরা কিছু ভুলব না, আমরা ক্ষমা করব না। আমরা তোমাদের খুঁজে বার করব এবং এই হামলার জবাব দেব।’

এই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ইসলামিক স্টেটের ডেরায় ড্রোন হামলা চালিয়েছিল আমেরিকা। এই হামলায় মৃত্যু হয়েছিল কাবুল বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রীর, জানা গিয়েছিল এমনটাই।

এদিকে ৩১ আগস্ট আফগানিস্তান থেকে সরছে মার্কিন সেনা। পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়, বর্তমানে কাবুল বিমানবন্দরে চার হাজার সেনা মেতায়েন রয়েছে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিকদের দেশে ফেরানো হচ্ছে। জো বাইডেন অবশ্য জানিয়েছিলেন, আমেরিকার কাছে ‘প্ল্যান বি’ রয়েছে ।

যদিও তালিবানের তরফে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, ৩১ আগস্ট তারিখটিই চূড়ান্ত। না হলে আমেরিকাকে ফল ভুগতে হবে। এরই সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বাইডেনের বিস্ফোরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version