কলকাতা ব্যুরো: দুর্গাপূজার প্রস্তুতির মধ্যেও রাজ্য সরকারের এখন সমান মাথাব্যথা করোনা সংক্রমণ যাতে কোনোভাবেই আর ঊর্ধ্বগতি না হয়, সেদিকে নজর রাখা। সেই লক্ষ্যেই পুজোর প্রস্তুতি মধ্যেও শনিবার সব দপ্তরের সচিবদের পাশাপাশি জেলাশাসকের থেকে বিডিওদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই বৈঠকে মূলত তিনটি বিষয় নিশ্চিত ভাবে কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের। প্রথমত ২৪ সেপ্টেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী করোনা বিধি মানতে কি কি করতে হবে সে ব্যাপারে নির্দেশিকা জানিয়ে দিয়েছিলেন। এখন সকলকে খেয়াল রাখতে হবে, সব কমিটি যাতে অক্ষরে অক্ষরে সেই নির্দেশ মেনে চলে। তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি পুরোহিত ভাতা সহ সামাজিক সুরক্ষা সহ যে সমস্ত ভাতা রাজ্য সরকার দেয়, তার যাবতীয় যেন পুজোর আগেই উপভোক্তাদের ব্যাংক একাউন্টে চলে যায়, সেটা নিশ্চিত করা।
আর স্বাস্থ্য কর্তাদের মুখ্যসচিবের নির্দেশ, পুজোর সময় যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা কোন কারণে বিঘ্নিত না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা।
এক্ষেত্রে শুধু চিকিৎসক বা হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মী নন, অঙ্গনওয়াড়ি, আশা কর্মীদের পাশাপাশি মিড ডে মিল এর কাজে যারা যুক্ত তাদের ব্যাপারে নজর রাখ তে বলা হয়েছে। এই বৈঠকে ব্লক স্তরে বিডিওদের মূলত বিশাল একটা কর্মকাণ্ডের চাপ থাকে। তাই বিডিওদের ভিডিও বৈঠকে, কি কি করনীয় সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্য সচিব।
রাজ্য সরকারে নির্দেশ অনুযায়ী, এবার আর কোনো মন্ডপ ঘেরা যাবে না। একইসঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, দর্শক থেকে উদ্যোক্তা সকলের মাস্ক ব্যবহার, পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার ব্যবস্থা রাখা, এই বিষয়গুলোর উপর সবচেয়ে বেশি নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব।
প্রশাসনিক কর্তারা মনে করছেন, একদিকে রাজনৈতিক বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দেওয়া, একই সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে পুজোর আয়োজন করা, দুটোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের কাছে। কারণ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, দুর্গাপূজার উৎসবের পরে এ রাজ্যে করোনা ফের ঘুরে আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে দুর্গাপুজোয় উদ্যোক্তারা বিধি না মানায় কাঠ গড়ায় বিরোধীরা তুলতে পারে সরকারকেই। তাই সে ব্যাপারে আগেভাগে রাজ্য বাড়তি সর্তকতা নিচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারাই।
করোনা বিধি মেনে পুজো নিশ্চিত করতে মুখ্যসচিবের বৈঠক সর্বস্তরের অফিসারদের সঙ্গে
Previous Articleউত্তরে করোনা
Next Article ভারত সীমান্তের কাছেই নেপালের গ্রাম দখল চিনের