কলকাতা ব্যুরো:
উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মঙ্গলবার আচমকাই হাসিমারার কোদাল বস্তিতে চলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে পেয়ে আপ্লুত কোদাল বস্তির আদিবাসীরা। আর বুধবার হাসিমারায় এক গণ বিবাহের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে নাচে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধামসা মাদলের তালে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে এদিন একাত্ম হয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী।

হাসিমারার সুভাষিনী চা বাগানে মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার ৫১০ জন ছেলেমেয়ের গণবিবাহের একটি অনুষ্ঠান হয়। সেখানে আদিবাসী নবদম্পতিদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁদের আশীর্বাদ করেন। কয়েকজনের হাতে উপহারও তুলে দেন। পাশাপাশি ওই অনুষ্ঠানে পাত্রীদের হাতে রূপশ্রীর ২৫ হাজার টাকা দ
সহ পোষাক, বিছানা সহ অনান্য উপহার সামগ্রী বিতরণ করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ওই গণবিবাহের অনুষ্ঠান হয়। মঙ্গলবার এই গণবিবাহের অনুষ্ঠানের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের কর্মীসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৫১০ জনের বিয়ের ব্যবস্থা করা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। আপনার ওই অনুষ্ঠানে এলে খুশি হব। ওই দিন বিবাহিত তরুণীদের হাতে রূপশ্রীর ২৫ হাজার টাকা তুলে দেব। এছাডা়ও বিয়ের পোশাক, বাসনপত্র-সহ অন্যান্য উপহার তুলে দেওয়া হবে।

তবে এই প্রথম নয়, আগেও একাধিকবার অন্য মেজাজে ধরা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও পূর্ব মেদিনীপুরে সটান ঢুকে পড়েছেন চায়ের দোকানে। নিজের হাতেই বানিয়েছেন চা। সেই চা চেখে দেখেছেন অনেকেই। আবার কখনও ঢুকে পড়েছেন হোটেলে। নিজেই নেড়েছেন খুন্তি। হোটেল মালিকের থেকে খোঁজ নিয়েছেন কী কী মশলা দেওয়া হয়েছে রান্নায়। গতবছরও আলিপুরদুয়ারে আদিবাসী মানুষের মাঝে মিশে ধামসা-মাদলের তালে পা মিলিয়েছেন। এদিনও একইভাবে আদিবাসী সুরের তালে পা মেলান তিনি।    

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version