কলকাতা ব্যুরো: একেবারে সাম্প্রতিক মহারাষ্ট্র, আর বছর দুই আগের কর্ণাটক।
বিরোধীদের ছত্রভঙ্গ করে বিজেপি যেভাবে একটা সরকারকে পাঁচ বছরের আগে ফেলে দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, তা গোটা দেশ দেখেছিল। সেই বিজেপির ‘কালো রথের’ গতি যেন এবার উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দিল বিরোধীরা। ঘোড়া কেনাবেচা করেছিল বিজেপি। কিন্তু সেই পথে না গিয়েই বিরোধী জোট এক হয়ে বিহারে সরকার থেকে বিতাড়িত করল পদ্ম কে। যা অক্সিজেন জোগাতে পারে আগামীদিনে বিরোধীদের জোট গড়তে।
বুধবার দুপুর দুটোয় ফের একবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নীতীশ কুমার৷ উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন তেজস্বী যাদব৷ মঙ্গলবারই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল ফগু চৌহানের কাছে ইস্তফা দেন নীতীশ৷ পরে তেজস্বী সহ মহাজোটের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানান তিনি৷ ১৬০ জনেরও বেশি বিধায়কের সমর্থন তাঁর প্রতি রয়েছে বলে রাজ্যপালের কাছে দাবি জানিয়েছেন নীতীশ কুমার৷

এদিন রাজভবন থেকে বেরিয়ে নীতীশ বলেন, মহাজোটের সব দল পরস্পরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে৷ জেডিইউ, আরজেডি, কংগ্রেস সহ মহাজোটে মোট সাতটি দল রয়েছে৷ নীতীশকে স্বস্তি দিয়ে তাঁকে নিঃশর্ত সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছে জীতেন রাম মাঝির দল হিন্দুস্তানী আওয়াম মোর্চা৷ এ ছাড়াও একজন নির্দল প্রার্থীও নীতীশ-তেজস্বী সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন৷ ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২টি আসন৷ তার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন নিয়ে নিশ্চিন্তে ফের মসনদে বসতে চলেছেন নীতীশ কুমার৷

তবে নীতীশ যখন ফের একবার পটনার মসনদে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন চুপচাপ বসে নেই বিজেপিও৷ আচমকা এই ধাক্কা সামাল দিতে দলের রণকৌশল ঠিক করতে বুধবার সকাল দশটায় পটনায় দলের বিধায়ক, সাংসদ, বিধান পরিষদ সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব৷ ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে পটনায় পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা৷

নীতীশ এদিন দাবি করেছেন, তাঁর দলের সব বিধায়ক, সাংসদ সর্বসম্মতিক্রমে এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে মত দিয়েছেন৷ সেই মতকে মান্যতা দিয়েই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন৷ যদিও বিজেপির অভিযোগ, বিহারের জনমতের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন নীতীশ৷

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version