কলকাতা ব্যুরো: করোনার হানায় রাজ্যে রোজই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ৫৯ জন। দিল্লিতে এই একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ২৪ হাজার মানুষ। মারা গিয়েছেন ৩৪৮ জন। গোটা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত তিন লক্ষ ৩৪ হাজার নাগরিক। রোগ বারার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পরিকাঠামোর অভাব।

দেশের সঙ্গে এরাজ্যেও অক্সিজেনের অভাব প্রকট হতে শুরু করেছে। দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে রাজ্যগুলিকে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সেখানে দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, এখন থেকে যে কোন রাজ্যে দ্রুতগতিতে অক্সিজেন পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। প্রয়োজনে গ্রিন করিডোর তৈরি করে মূল গন্তব্যে অক্সিজেন পাঠাতে হবে। তাতে কোনো রকম যাতে বাধা না হয়, তা দেখতে হবে পুলিশকে। এদিকে এ রাজ্যে দুর্গাপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় কারখানায় যে অক্সিজেন উৎপাদন হয়, তা রাজ্যের বাইরে যেতে দিতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি এক পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছেন, রাজ্যে এখনও যে পরিমাণ অক্সিজেন উৎপন্ন হয়, তার একটি অংশ বাইরে পাঠানো হয়। কিন্তু আগামী কয়েকদিন থেকে যদি এই বাইরে পাঠানো বন্ধ না করা হয়, সে ক্ষেত্রে রাজ্যে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের অভাব দেখা যাবে। ফলে অক্সিজেন ইস্যুতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধিতা শুরু করলেন।

আবার রাজ্য সরকার করোনা রোগীদের জন্য বেডের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি সেফ হোমের ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করলেও বহু রোগী প্রয়োজনীয় বেড পাচ্ছে না বলে অভিযোগ। সরকারি হাসপাতালের সামনে পড়ে থাকা রোগীর আত্মীয়দের হাহাকার বা বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে লাইন দিয়ে বেড পাওয়ার চেষ্টার ছবি ধরা পড়ছে। ফলে সব মিলিয়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ত্রাহি ত্রাহি রব নাগরিকদের।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version