কলকাতা ব্যুরো: চাকরিপ্রার্থীদের যন্ত্রণাকে নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে বিরোধীরা। জট খুলে গেলে রাজনীতি চলে যাবে। ছেলেমেয়েগুলো বিপদে থাকুক, তারা ধরনা দিক, এটাই চাইছে বিরোধীরা। শনিবার একথা বললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। শুক্রবার ২০১৬-র এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেন। এরপরই অভিষেকের সঙ্গে দেখা করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণরা। অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসের সামনে রাতভর ধরনা কর্মসূচি চালান তারা। এর পরই মাঠে নামে তৃণমূল। দলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল।

তৃণমূল মুখপাত্র বলেন, প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণরা তাদের ডেপুটেশন জমা দিতে পারেন। সেটা দেখে বৈঠক করা হবে। প্রত্যেকটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সমস্যা আলাদা। আমাদের একটু সময় দিন। শুক্রবার প্রাথমিক বৈঠক হয়েছে। সবার সঙ্গে বৈঠক একসঙ্গে হতে পারে না। ধাপে ধাপে সমস্ত সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কুণালের কথায়, একটা খারাপ কাজ হয়েছে। সেকারণেই এই জটের সৃষ্টি হয়েছে। সেটা ধরে বসে থাকা হবে?, না। ছেলেমেয়েগুলো যাতে চাকরি পায়, তা নিশ্চিত করতেই পয়েন্ট ধরে ধরে জট খোলার চেষ্টা চলছে। যারা দোষ করেছে, উচ্ছন্নে যাক। চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়াটাকেই তৃণমূল কংগ্রেস গুরুত্ব দিচ্ছে। এটা নিয়ে দয়া করে রাজনীতি করবেন না।

মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতিতেই শুক্রবার ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের বৈঠক হয়েছে বলে জানান কুণাল। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী চান ছেলেমেয়েগুলোর যন্ত্রণা লাঘব হোক। বিরোধীরা চাইছেন জলঘোলা করতে। অভিষেক দেখা করবেন না একবারও বলেননি। আন্দোলনকারীদের সমস্যা খটিয়ে দেখে ৭-৮ দিনের মধ্যেই শিক্ষামন্ত্রীকে বসতে বলেছেন। চাকরিপ্রার্থীদের আবেগকে ভুল পথে প্ররোচিত করে ক্যামাক স্ট্রিটে পাঠানো হচ্ছে। যারা এটা করছেন, তারা ভুল কাজ করছেন। দলীয় তরফ থেকে চাকরিপ্রার্থীদের সমস্যা চিহ্নিত করে সরকারকে জানানো হবে। আইনি জট কাটিয়ে যাতে স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ হয়, সে বিষয়টিকে দেখা হচ্ছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version