কলকাতা ব্যুরো: পেট্রোল-ডিজেল থেকে কম রাজস্ব আদায় করতে যেদিন প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিনই সন্ধ্যায় কলকাতায় পেট্রোল সেঞ্চুরি করল। সোমবার সন্ধ্যায় উত্তর কলকাতার বেশকিছু পাম্পে সাধারণ পেট্রোল ১০০ টাকা লিটারে বিক্রি হয়। আবার দক্ষিণ কলকাতার প্রায় একই সময় দেখা যায় দাম ১০০ পার করেছে। এই অবস্থায় দ্রুত ৫ ডিজিটের ডিসপ্লে বোর্ড সব পাম্পে না হলে নতুন সমস্যা দেখা দেবে।
এই অবস্থায় যারা আগে পাঁচ ডিজিটের দামের ডিসপ্লে বোর্ড করেননি, তারা এখন বিতর্ক এড়াতে হাতে বিল লিখে দাম নিচ্ছেন। এমন সমস্যা এর আগে ১৯৯০ সালে দেখা গিয়েছিল বলে জানাচ্ছেন পাম্প মালিকরা। সে সময় হঠাৎ করেই দু টাকা ৩৯ পয়সা দাম বেড়ে যাওয়ায় ১২ টাকা ২৩ পয়সা ১ লিটার পেট্রোলের দাম হয়। ফলে তিন ডিজিটের যাদের ডিসপ্লে বোর্ড ছিল, তাদের বিপাকে পড়তে হয়। এখন এদিন কলকাতা শহরে পেট্রোল এক লিটার ১০০ টাকা ছুঁয়ে ফেলার ফল এবার ৫ ডিজিট ডিসপ্লে বোর্ড নিয়ে মাথাব্যথা শুরু হয়েছে।
কলকাতায় সোমবার সাধারণ পেট্রোল ১০০ টাকা দাম নেওয়া শুরু হলেও রাজ্যের বেশকিছু জেলায় গত কয়েকদিন আগেই দাম বেড়েছে। উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে দুদিন আগেই সাধারণ পেট্রোলের দাম ১০০ টাকা ছুঁয়েছে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদে রবিবারে পেট্রোলের দাম ১০০ টাকায় হয়ে গিয়েছে।
শহর কলকাতায় এতদিনে পেট্রোলের দাম ১০০ ছুলেও সেঞ্চুরির তালিকায় ইতিমধ্যেই নাম লিখিয়েছে পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, বিহার, রাজস্থান, কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, ওড়িষ্যা, মনিপুর, জম্মু এন্ড কাশ্মীর ও লাদাখ। এবার সেই তালিকায় ঢুকে পরল পশ্চিমবঙ্গ।
প্রতিদিন জ্বালানির দাম বাড়তে থাকলেও তা নিয়ে অবশ্য হেলদোল নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। আবার বিরোধী রাজ্য সরকার গুলিও শুধুমাত্র মুখেই বিরোধিতা করে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখে মাঝে মাঝে হুংকার দিচ্ছেন। ওই পর্যন্তই। পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতায় গোটা দেশে তেমন আন্দোলন নেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির। যে আন্দোলন সামপ্রতিককালে অন্তত দেখা গিয়েছিল কৃষি আইনের বিরোধিতা করে। ফলে জিনিসপত্রের দাম যে আরো বাড়বে তা নিশ্চিত।