বর্ষা মানেই ইলিশ। যদিও এই বর্ষায় এখনো পর্যন্ত ভরসা রাখা যাচ্ছে না ইলিশে। রাখা যাবেই বা কি করে ! শহরের বাজারে তো সেভাবে এখনো দেখাই মিলছে না ইলিশের। যেটুকু মিলছে তার দামও বেশ চড়া। তবুও ইলিশ বলে কথা। একখানা ইলিশ ভাজা, তার তেল, ডিম আর কাঁচা লঙ্কা দিয়েই সাবরে দেওয়া যায় এক থালা ভাত। সর্ষে ইলিশ,ইলিশের ঝাল ঝোল, বেগুন দিয়ে ইলিশ কিংবা ইলিশ ভাপা হলে তো কথাই নেই। আজ কিন্তু আমরা রান্না করছি ইলিশের একটা অন্যরকম কিন্তু দারুন সুস্বাদু পদ। কাঁচা কলা আর রাঁধুনি বাটা দিয়ে ইলিশের ঝোল। রান্নার পদ্ধতিও খুব সহজ।

উপকরণ:
ইলিশ মাছ:৩-৪ টুকরো
কাঁচা কলা:৩ টে
রাধুনি বাটা:২ টেবিলচামচ
কালোজিরে:১/২ টেবিলচামচ
লাল লঙ্কা গুঁড়ো:১ টেবিলচামচ
সর্ষের তেল:১ কাপ
টমেটো বাটা:২ টেবিলচামচ
নুন – হলুদ:পরিমাণ মত

পদ্ধতি:
প্রথমে মাছগুলোকে নুন – হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে। কাঁচা কলাগুলো লম্বা – লম্বা করে কেটে নিয়ে নুন হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে। কারণ কাঁচা কলাতে নুন হলুদ মাখিয়ে রাখলে কষ ভাব কেটে যায়। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে ইলিশ মাছগুলো ভেজে তুলে রাখতে হবে। গরম কড়াইয়ে মাছ ভাজার তেলে কালো জিরে ফোড়ন দিয়ে নুন হলুদ মাখানো কাঁচকলা গুলো লাল করে ভাজতে হবে। ভাজা কলার মধ্যে একে একে টমেটো বাটা ,পরিমাণমতো নুন ,হলুদ, লাল লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ কষে নিতে হবে। তারপর কলাগুলো ডুবে যাওয়ার মতো জল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। দু-তিন মিনিট বাদে কলা সেদ্ধ হয়ে গেলে রাধুনি বাটা দিয়ে মাছগুলো ছেড়ে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে , দুই তিন মিনিটের বেশি যেন ঝোল ফোটানো না হয়। কারণ রাঁধুনি বাটা থাকায় ঝোল বেশি ফুটলে তা তেতো হয়ে যেতে পারে। দু-তিন মিনিট ফুটে উঠলেই রান্না তৈরি। গরম ভাতে গরম ইলিশের ঝোলের স্বাদ লা-জবাব।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version