উপস্থাপনা: মৌমিতা চক্রবর্তী

নারকেল দিয়ে ছোলার ডাল যে বাঙালির পছন্দের একটি আইটেম সে কথা বলাই চলে। ঠিক যেমন খাসির মাংসের কিমা দিয়ে মটর বা কাবুলি ছোলার ঘুগনি। ওপরে কাঁচা পেঁয়াজ, কুচানো লঙ্কা, ধনে পাতা, খানিক তেঁতুল গোলা জল আর হালকা বিটনুন ছড়িয়ে দিলে সে স্বাদ অনন্য। কিন্তু খাসির মাংসের কিমা দিয়ে ছোলার ডাল কি চেখে দেখেছেন কখনো ? আসুন, আজ পরখ করে নেওয়া যাক।

উপকরণ-
ছোলার ডাল ২৫০ গ্রাম
মাটন কিমা ১৫০ গ্রাম
রসুন বাটা ১টেবিল চামচ
আদা বাটা ১টেবিল চামচ
জিরে গুঁড়ো ২টেবিল চামচ
ধনে গুঁড়ো ১টেবিল চামচ
গরম মশলা ১ টেবিল চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো ১টেবিল চামচ
ঘি ১টেবিল চামচ
সর্ষের তেল ১০০গ্রাম
কুচোনো পেঁয়াজ ১ টা বড় মাপের
আন্দাজ মতো নুন ও হলুদ
টমেটো বাটা ১টা
গোটা গরম মশলা সামান্য পরিমাণ‌ (এলাচ, দারুচিনি)

পদ্ধতি-
প্রথমে ছোলার ডালগুলোকে ভালো করে ধুয়ে ঘন্টাখানেক ভিজিয়ে রাখতে হবে।আর মাটন কিমাকে নুন, হলুদ আর সামান্য লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে। ডালগুলো ভিজে গেলে সামান্য পরিমাণ নুন আর হলুদ মাখিয়ে প্রেসার কুকারে আধ সেদ্ধ করতে হবে। দেখতে হবে ডালগুলো যেন গলে না যায়।ডাল সেদ্ধ হয়ে গেলে জলগুলো ঝরিয়ে নিতে হবে। এরপর কড়াইয়ে একটু বেশি পরিমাণ তেল দিয়ে কুচোনো পেঁয়াজগুলো বাদামি রং করে ভাজতে হবে। এবার পেঁয়াজ ভাজার মধ্যে একে একে আদা বাটা , রসুন বাটা, টমেটো বাটা,জিরে গুঁড়ো,ধনে গুঁড়ো সব কড়াইয়ে দিয়ে নাড়তে হবে।স্বাদমতো নুন হলুদ ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে দিতে হবে। মশলা গুলো একটু নাড়াচাড়া করে মাটন কিমা গুলো কড়াইয়ে দিয়ে নাড়তে হবে। কিছুক্ষণ সবগুলো কষিয়ে নিয়ে আন্দাজ মতো জল দিয়ে পাঁচ মিনিট ঢেকে রাখতে হবে। এরপর কিমা থেকে তেল ভেসে উঠলে জল ঝরানো সেদ্ধ করা ডালগুলো কড়াইয়ে দিয়ে নাড়তে হবে। কিছুক্ষণ নাড়ার পর আবার সামান্য জল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। দেখতে হবে যাতে জল একেবারে না শুকিয়ে যায়। কারণ ছোলার ডাল অনেক জল টেনে নেয়। এবার তেল কড়াইয়ে উঠে আসলে এক চামচ ঘি ও গরম মশলা দিয়ে নামিয়ে গরম রুটি ও পরোটার সাথে এটি জমজমাট খাবার।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version