কলকাতা ব্যুরো: পূজার্চনা, যজ্ঞ, আরতিতে কর্পূরের ব্যবহার সকলেই করে থাকে। কিন্তু এ ছাড়াও কর্পূরের একাধিক উপকারিতা রয়েছে। দৈনন্দিন জীবনের একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তির ক্ষেত্রে কর্পূর কাজে লাগতে পারে। এতে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ বর্তমান। তাই এটি আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে তো বটেই, ত্বক ও চুলের সৌন্দর্যের জন্যও উপযোগী। কর্পূর ও কর্পূরের তেল— দুইই খুব কাজে লাগতে পারে।

• ত্বকে কর্পূরের তেল লাগালে ফোড়া, ফুন্সি, পিম্পল থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
• আবার কর্পূরের তেল মাথায় বা চুলে লাগালে অবসাদ থেকে মুক্ত হওয়া যায়।
• চুল পড়া, খুস্কির সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য কর্পূরের তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে সুফল পাওয়া যায়। কর্পূরের তেল লাগালে, চুল শীঘ্র বাড়ে ও মজবুত হয়। এর জন্য দইয়ে কর্পূরের তেল মিশিয়ে লাগিয়ে রাখুন। আধ-এক ঘণ্টা লাগিয়ে রাখার পর তা ধুয়ে ফেলুন।
• আবার কর্পূরের তেলের ব্যবহারের ফলে পায়ের একাধিক সমস্যা দূর হয়। ঈষদুষ্ণ জলে কর্পূরের তেল দিয়ে, তাতে পা ডুবিয়ে রাখলে গোড়ালি পরিষ্কার হয়, গোড়ালি ফাটার সমস্যাও দূর হয়। পাশাপাশি পায়ের ইনফেকশান অথবা ফাঙ্গাস থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
• কেটে যাওয়া অথবা পুড়ে যাওয়ার দাগ থাকলে সেই অংশে কর্পূরের তেল লাগানো যেতে পারে। এর ফলে দাগটি হাল্কা হতে হতে মিটে যায়।
• শরীরের অভ্যন্তরীণ ব্যথার জন্যও কর্পূরের তেল উপকারী। ব্যথার স্থানে হাল্কা গরম কর্পূরের তেল লাগালে স্বস্তি পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, বাজারে সহজেই এই তেল পাওয়া যায়। তবে আপনি বাড়িতেও এই তেল তৈরি করতে পারেন। এর জন্য নারকেল তেলের মধ্যে কয়েক টুকরো কর্পূর দিয়ে এয়ারটাইট বন্ধ করে রেখে দিন। নারকেল তেল কর্পূরের সমস্ত গুণ শোষণ করে নিলেই এই তেল ব্যবহারের উপযোগী হয়ে উঠবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version