কলকাতা ব্যুরো: একদিকে দিলীপ ঘোষকে বাগে আনার চেষ্টা। অন্যদিকে পোস্টারে ছবি থাকলেও হুগলিতে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মিছিলে অংশ নেননি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বঙ্গ বিজেপির কার্যত এই অবস্থার মধ্যে মঙ্গলবার রাতে কলকাতায় এলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা।

YouTube video player

এদিন বিমানবন্দরে নাড্ডাকে স্বাগত জানান সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল সহ বিশিষ্ট নেতৃত্ববৃন্দ। ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে প্রায় একবছর পর বাংলায় এলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।

বুধবার মূলত হুগলিতেই ব্যস্ত থাকছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সূচি অনুযায়ী, বেলা সোয়া এগারোটা নাগাদ তিনি যাবেন চূঁচড়ায়। সেখান থেকে যাবেন চন্দননগরে। বেলা তিনটের সময় রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন তিনি। ক্লোজডোর হবে এই বৈঠক। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই বৈঠকেই রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাদের কড়া বার্তা দিতে পারেন নাড্ডা।

বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে যাবেন বেলুড়। তারপর একে একে সাংসদ, বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক। এই বৈঠক হবে নিউটাউনের এক পাঁচতারা হোটেলে। তারপর সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামের কর্মীসভা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। এরপরই কলামন্দিরে সম্মেলন করে তিনি ফিরে যাবেন দিল্লিতে।

এক বছর আগেও বাংলা হয়ে গিয়েছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির অন্যতম গন্তব্যের জায়গা। প্রায় একদিন ছাড়া ছাড়া বাংলায় আসতেন জে পি নাড্ডা। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় ডায়মন্ড হারবারে তাঁর কনভয়ে ঢিল পড়ার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু ২০২১ সালে দোসরা মে ফল প্রকাশ হতেই ছবিটা বদলে যায়।

রাজনৈতিক মহলের দাবি, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শত পরিশ্রম করলেও বিজেপি সেই তিমিরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে এলেন জে পি নাড্ডা। গত কয়েকদিন আগে দিল্লিতে গিয়ে তাঁর কাছেই বিদ্রোহ দেখিয়ে এসেছিলেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া সাংসদ অর্জুন সিং। এমনকী, তাঁর চিঠি পাওয়ার পরেও এখনও অনর্গল দিলীপ ঘোষও। সেই নাড্ডা বঙ্গ বিজেপিকে চাঙ্গা করতে এবার কী বার্তা দেবেন, সেই অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version