কলকাতা ব্যুরো: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দল খেললেও, রাহুল দ্রাবিড়ের আমলে সে দলও বেশ শক্তপক্ত। তিনটে ম্যাচ পর সেই দল মরণ-বাঁচন লড়াইয়ে একেবারে জ্বলে উঠলো। আর সেই সৌজন্যেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিরল সমতা অর্থাৎ শেষ ম্যাচেই নির্ধারিত হবে সিরিজ কার। ছোট ফরম্যাটে তারা বিশ্বের এক নম্বর দল। সেই ভারতীয় দলকে তো ঠিক এভাবেই দেখতে অভ্যস্ত ক্রিকেটপ্রেমীরা।

প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ হারের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল। তবে এদিন লড়াইটা ছিল আরও কঠিন কারণ ইতিমধ্যেই রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে ঋষভ পন্থের অধিনায়কত্ব  নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এমনকী আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে নেতৃত্বের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন দল গুজরাটের ক্যাপ্টেন হার্দিক পাণ্ডিয়াকে। তাই রাজকোটের ২২ গজে আজ নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদটা খুব বেশি পরিমাণে ছিল পন্থের (১৭)। ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে পারলেন না যদিও। তবে সতীর্থরাই তাঁকে এ যাত্রায় উতরে দিলেন। মন ভাল করে দেওয়ার মতো ইনিংস খেললেন হার্দিক পাণ্ডিয়া (৪৬) এবং দীনেশ কার্তিক (৫৫)।

চলতি বছরের আইপিএলেই ব্যাট হাতে সকলকে অবাক করেছিলেন। সেই দৌলতে এত বছর পর টি-২০ ফরম্যাটে জাতীয় দলে ডাক পড়ে কার্তিকের। নিরাশ করেননি। সুযোগের সদ্ব্যবহার কীভাবে করতে হয়, তা কার্তিকের থেকে শিখতেই পারেন আগামীরা। দলের সিনিয়র যেদিন দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করলেন, সেদিন অবশ্য হাত ঘুরিয়ে নজর কাড়লেন এক জুনিয়রও। বুঝিয়ে দিলেন, তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। কথা হচ্ছে আবেশ খানের। চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে চারটি মূল্যবান উইকেট তুলে নিয়ে দলের জয়ের পথ প্রশস্ত করে দেন ২৫ বছরের পেসার। জোড়া উইকেট তুলে নেন দুরন্ত ছন্দে থাকা যুজবেন্দ্র চাহাল।

তবে এদিন হারের পাশাপাশি জোড়া ধাক্কা লাগে প্রোটিয়া শিবিরে। আবেশের ডেলিভারিতে বাঁ-হাতের কনুইয়ে চোট পেয়ে রিটার্য়াড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক বাভুমা। আবার এই আবেশের বলেই চোট পান মার্কো জ্যানসেন। তাঁর কাছে ছুটে যান ভারতীয় ক্রিকেটাররাও। যদিও তারপরই আউট হয়ে যান তিনি। তবে আগামী ম্যাচে এই দুই তারকা আদৌ খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সিরিজ ব্যাগে ভরতে মরিয়া পন্থ অ্যান্ড কোং।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version