কলকাতা ব্যুরো: আসি আসি করেও আসা হচ্ছে না। এখনও থমকে রয়েছে শীত। ভোরের দিকে ঘন কুয়াশার জের এতটাই যে দূরপাল্লার স্পেশাল ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। কুয়াশার ঘনত্ব থাকলেও সেই শিরশিরানি আর নেই। কয়েক সপ্তাহ আগে বাতাসে হিমেল স্পর্শ দেখে শীতের রোদ মাখার আদুরে স্বপ্ন দেখছিলেন যাঁরা, তাঁরা এখন হতাশ। আর আবহাওয়া দফতরও শীত নিয়ে কোনও পূর্বাভাস দেয়নি।

শুক্রবার কলকাতা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.১ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিক। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪৩ শতাংশ, যা শুক্রবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার চেয়ে সামান্য হলেও বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াতে শিরশিরানির বদলে হালকা গরম অনুভব হচ্ছে শহরবাসীর।

শনিবার আকাশ প্রধানত পরিষ্কার থাকবে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ৩১ ডিগ্রি এবং ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের আশপাশে ঘোরাফেরা করবে, জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। তবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, শুষ্ক আবহাওয়াই থাকবে। উত্তরবঙ্গেও বিশেষ কোনও পরিবর্তনের কথা জানায়নি আবহাওয়া অফিস।

তবে রবিবাসরীয় ইডেনে ভারত-নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট ম্যাচে ভোরের শিশির বাধা হবে কিনা, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। শীতের শুরুতে রাতের ক্রিকেটে শিশির বিন্দু কিছুটা হলেও অনুঘটকের কাজ করে। ইডেনের কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন রাত দশটা পর্যন্ত খুব শিশির পড়ার নজির গত কয়েকদিনের মধ্যে দেখা যায়নি। ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশির বিন্দুতে রোদের আলো পড়ে ঝকমক করে ওঠার ছবি সেভাবে গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে দেখা যায়নি। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনায় সিরিজের গুরুত্বহীন ম্যাচ প্রভাবিত হবে কিনা, তা বলবেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাই।

তবে এই আবহাওয়ার হেরফের, বাতাসে শীতল স্পর্শ শিহরন জাগিয়ে সরে যাওয়া কতদিন তা হাওয়া অফিস বলতে পারছে না বরং ফের নিম্নচাপের শঙ্কা দেখতে পাচ্ছে। তাই বলাই যায় এই ঠান্ডা গরমের লুকোচুরি আদতে শীতকে থমকে দিয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version