কলকাতা ব্যুরো: তৃতীয় দফায় নন্দীগ্রামে ভোটের পরেই অন্যত্র প্রচারে ধার বাড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে বাড়ির মেয়ে-বৌদের ভোট এক জায়গায় করতে প্রচারে তাদের জন্য সময় খরচ করছেন তিনি। অন্যদিকে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা না লাগাতে পরামর্শ দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন বিজেপির বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে লিফলেট বিলি করে জানানো হচ্ছে, আগামী জুন মাস থেকে তৃণমূল সরকার সাধারণ জনজাতির মহিলাদের জন্য মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা দেবে, আর তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য মাসিক ভাতা হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ তৃণমূলকে জিতিয়ে আনলে, আগামী দিনে বাড়ির মেয়ে-বৌরা সরকারের থেকে দান ধ্যানে নতুন এই দক্ষিণা পাবেন বলে আশ্বস্ত করছে তৃণমূল। পাড়ায় পাড়ায়, সংবাদপত্রের মধ্যে করে এই লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। আইনত যা করা যায় কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।


শুক্রবার উত্তরবঙ্গে প্রচারের পর শনিবার সকাল থেকেই মমতা ছিলেন দক্ষিণবঙ্গে। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। রায়দিঘিতে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি স্পষ্টই জানান, দেবশ্রী রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকায় তাকে প্রার্থী করা হয়নি। এর পরেই বিজেপি এবং সিপিএমকে রুখতে মেয়েদের হাতা খুন্তি নিয়ে বেরিয়ে আসার কথা বলেন মমতা। দ্বিতীয় দফার পর থেকে মমতার প্রচারে ঝাঁঝ অনেকটাই বেশি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।


একইসঙ্গে প্রচারে তার বেশি সময় খরচ মহিলাদের জন্য নজর করছে বিশেষজ্ঞদের। তৃণমূলের তরফে বক্তব্য, মমতা যে সমস্ত ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা নাগরিকদের দিয়েছেন, তাতে মহিলারা বেশি ক্ষেত্রে উপকৃত হয়েছেন। তাই মহিলাদের ভোট তৃণমূলের বাক্সে টানতেই এবার প্রচারে বেশি সময় তিনি খরচ করছেন মহিলাদের জন্য। একই সঙ্গে আগামী বার সরকার গড়লে মহিলাদের জন্য ভাতা দেওয়ার নতুন পথ খুলে রেখেছেন মমতা। ফলে ক্লাবে টাকা দেওয়া, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজ সাথীর মত মমতা আবার ক্ষমতায় এলে নতুন দান খয়রাতিতে জুড়বেন মহিলাদেরই।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version