কলকাতা ব্যুরো: কবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে তা আর ভেবে লাভ নেই। অনেকদিন হলো মনটা উরু উরু। সেইসব পায়ের তলায় সর্ষে লাগানো মানুষদের জন্য সুখবর। দার্জিলিংয়ের হোটেল এবং রেস্তোরাঁ চালু করার অনুমতি দিলো রাজ্য সরকার। ফলে শুধুমাত্র কনটেইনমেন্ট জোন এর বাইরে হোটেলে গিয়ে আপনি থাকতে পারেন। শনিবার জেলাশাসকের তরফে দার্জিলিং হোটেল মালিকদের সংগঠনকে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, পরিস্থিতি আগের তুলনায় নিয়ন্ত্রণে আশায় এখন হোটেল খোলার অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার।

কলকাতা থেকে পদাতিক এক্সপ্রেস ছাড়া আর কোন ট্রেন এখনো পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে চলাচল করছে না। এই অবস্থায় একমাত্র ভরসা হতে পারে গাড়ি। তাই যদি আর ঘরে বসে থাকতে না ইচ্ছে হয়, তাহলে গাড়িকে সঙ্গী করেই বেরিয়ে পড়তে পারেন দার্জিলিং এর পথে। আর যারা গাড়ির বাড়তি খরচ বহন করতে চাইছেন না, তাদের জন্য তো বাস রয়েছেই। ধর্মতলা, সল্টলেক থেকে এখন নিয়মিত বাস চলাচল করছে শিলিগুড়ির মধ্যে।

সরকার অনুমতি দিলেও বাস্তবে তা কতটা কার্যকর হবে সে ব্যাপারে অবশ্য এখনও সন্দিহান হোটেল মালিকদের সংগঠন। এর আগে ৮ জুন একবার রাজ্য সরকার হোটেল খোলার অনুমতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে যে তা কার্যকর হবে না, তা বুঝেই হোটেল মালিকরা আর সে সুযোগ নেননি। কেননা তাদের বক্তব্য, পরিবহন ব্যবস্থা যতদিন না স্বাভাবিক হচ্ছে ততদিন ব্যবসা শুরু করা সমস্যার।

দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা বন্ধ থাকার পর এখন গেস্টদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য কাজের লোক রাখতে হবে। কিন্তু যানবাহন বন্ধ থাকায় আদবে কত পর্যটক আসতে পারবেন তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না হোটেল মালিকরা তাই তারা বেশ সন্দিহান।

দার্জিলিং টাউনে প্রায় ৩৪০ টি হোটেল রয়েছে। বছরে সাড়ে চার লক্ষ পর্যটক যাতায়াত করেন। আর গোটা দার্জিলিং এবং কালিম্পং ধরলে ছ’ হাজার ঘরের ব্যবস্থা রয়েছে সব হোটেল মিলিয়ে। এই অবস্থায় হোটেল ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে মালিকদের চাহিদা, আগে স্বাভাবিক যানবাহনের ব্যবস্থা করা হোক। না হলে হোটেল চালিয়ে আর্থিক ক্ষতি আরো বাড়তে পারে বলে তাদের একাংশের আশঙ্কা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version