কলকাতা ব্যুরো: উদয়পুরে কানহাইয়া লালের হত্যার পর একই ধরনের ঘটনা ঘটলো মহারাষ্ট্রেআরএসএস মুখপাত্র ‘অর্গানাইজার’ দাবি করেছিল, বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে পোস্ট করায় মহারাষ্ট্রের এক ওষুধের দোকানের মালিকের মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়েছে। সেই ঘটনা গত ২১ জুনের। এবার ওই ঘটনাতেও এনআইএ-কে তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

২৯ জুলাই অর্গানাইজার টুইট করেছিল, ২১ জুলাই রাতে মুণ্ডচ্ছেদ করা হয় উমেশ কোলেকে। তিনি বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বক্তব্য সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। উমেশের ছবি-সহ ওই টুইটে এও জানানো হয় যে, এই ঘটনায় চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হল আবদুল (২৪), শোয়েব খান (২২), মুদাস্সর আহমেদ শেখ ইব্রাহিম (২২) ও শাহরুখ পাঠান হিদায়েত খান (২৪)। পরে আরও এক দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার হয়।

এতদিন উমেশ হত্যার তদন্ত করছিল মহারাষ্ট্র পুলিশ। এবার সেই তদন্তভার যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। এদিন অমিত শাহর দপ্তর টুইট করে, গত ২১ জুলাই মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটে। উমেশ কোলের হত্যার তদন্তের দায়িত্ব এনআইয়ের হাতে তুলে দেবে মহারাষ্ট্র পুলিশ। নিজেদের বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানায়, এই হত্যার পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। কোনও সংগঠন এই হত্যার সঙ্গে যুক্ত কিনা, আন্তর্জতিক যোগসূত্র আছে কিনা, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৪ বছরের উমেশের অমরাবতী শহরে ওষুধের দোকান রয়েছে। তিনি নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন। এরপরই ২১ জুন মুণ্ডচ্ছেদ করে তাঁকে হত্যা করা হয়। যে ঘটনায় মহারাষ্ট্র পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। দুষ্কৃতীদের আদালতে পেশ করা হলে তাদের আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশের পর এবার এই ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ। উল্লেখ্য, উদয়পুর হত্যাকাণ্ডেরও তদন্ত করছে এনআইএ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version