কলকাতা ব্যুরো: ভরা কোটালের মধ্যেই টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ভাঙ্গনের মুখে নামখানা, সাগরদ্বীপের বহু এলাকা। একইসঙ্গে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে নোনা জলে ঢুকে পরেছে সাগরের বহু গ্রামে। একদিকে ভাঙছে হলদী নদী। অন্যদিকে হাতানিয়া-দোয়ানিয়ার ভাঙ্গনে নামখানার বহু এলাকা নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। আবার সমুদ্রের ভাঙ্গনে সাগর দ্বীপের অবস্থা ক্রমে ভয়াবহ হয়ে উঠছে। পর্যটক শূন্য বকখালিতেও ফুঁসছে সমুদ্র। ফলে সাগর থেকে দূরের দোকানপাট যাঁরা সরাতে পারেননি, তা ভেসেছে জলোচ্ছ্বাসে।

কাল রাত থেকে বৃষ্টি ছিলই। সকাল থেকে সেই প্রবল বৃষ্টির সঙ্গেই ঘন ঘন বাজ পড়ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন ও লাগোয়া কাকদ্বীপ, সাগর, নামখানা এলাকায়। ফলে লকডাউন নয়, বৃষ্টিতেই জনজীবন স্তব্ধ এই সব এলাকায়।

আর এই অবস্থায় গত কয়েকদিন ধরে চলতে থাকা ভাঙ্গন নতুন করে গতি পেয়েছে। বোটখালি থেকে শুরু করে সাগরের ধবলাট, চেমাগুড়ি, বসন্তপুর, প্রসাদপুর ঘোড়ামারার বিস্তীর্ণ এলাকার একদিকে বানভাসি অন্যদিকে ভাঙনের কবলে। সাগরে সমুদ্র লাগোয়া বঙ্কিমনগর বা হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী ঘেঁষা সুমতিনগরে এখন শুধু ভাঙ্গনের ছবি।

এক টানা প্রবল বৃষ্টিতে নদীতীরের বহু বাড়ীতে জল ঢুকর গেছে। আবার ভাঙ্গনে নদীগর্ভে গিয়েছে বাড়ি থেকে চাষের জমি। সমুদ্র থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার ভিতরে শিবপুর মনসাবাজার, প্রসাদপুর এলাকায় জমিতে ঢুকেছে নোনাজল। আবার নোনা জল ঢুকে বড় ক্ষতির মুখে মাছের ভেড়িগুলিও।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version